সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
সূত্রের খবর, বছরের পর বছর ধরেই বাংলার সরকারি হাসপাতালে বহু প্রসূতির মৃত্যুর ডেথ অডিট করা, বৈঠকের পর বৈঠক, প্রচুর তিরস্কার এবং ধমকধামকের পরও মায়েদের মৃত্যু কমার নাম নেই। শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্তও জাতীয় স্তরে রীতিমতো উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে বাংলায় ম্যাটারনাল মর্টালিটি রেট। করোনার আগে এবং পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, ২০২৩ সালে পিজি হাসপাতাল, ২০২৪ সালে মেডিক্যাল কলেজ, সে বছরই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ—পরপর মায়েদের মৃত্যুর পর সিনিয়র স্বাস্থ্যকর্তাদের উপস্থিতিতে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ডেথ অডিট কমিটি বৈঠক বসে। অভিযোগ, এতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে করোনার আগে লাগাতার মায়েদের মৃত্যুর একটি ঘটনায় দায়ী করা হয়েছিল অক্সিটোসিনকে। ২০২৩ সালের পিজি’র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দায়ী করা হয় রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনকে। আর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ২০২৪ সালে একই দিনে পরপর মায়ের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয় রাতে অপারেশনের সময় সিনিয়রদের অনুপস্থিতি। ’২৪ সালে ন্যাশনালের প্রসূতিমৃত্যুর সময়ও সিনিয়রদের অনুপস্থিতি উঠে আসে ডেথ অডিট রিপোর্টে। পিজি’র তদন্ত কমিটি রিঙ্গার ল্যাকটেট সন্দেহজনক বলে দ্রুত তার টক্সিকোলজি পরীক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশপত্র পাঠায়। কিন্তু সেই পরীক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে একাধিক স্বাস্থ্যকর্তা, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, স্ত্রীরোগ প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হলেও মায়েদের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট (ডব্লুবিজেডিএফ)। তাদের অন্যতম শীর্ষ নেতা ডাঃ অনিকেত মাহাত বলেন, পারস্পরিক দোষারোপ না করে মাতৃমৃত্যুর প্রকৃত কারণটা জানা খুব জরুরি। সরকারের কাছে অনুরোধ, বিভিন্ন সময় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে মায়েদের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে আসা বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। এদিকে মঙ্গলবার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স এক নির্দেশনামা জারি করে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে রিঙ্গার ল্যাকটেট, ডেক্সটোজ, লিভোফ্লক্সাসিন, ওফ্লক্সাসিন সহ ১৪ ধরনের ইঞ্জেকশন-ওষুধ ব্যবহার করতে নির্দেশ করেছে। তার মধ্যে ৭টি ইঞ্জেকশন সরকার অনুমোদিত বিকল্প সংস্থা থেকে কিনতে বলা হয়েছে। সেজন্য প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দও করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে পিজিতে ভর্তি তিন প্রসূতির সঙ্কট এখনও কাটেনি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই খবর মিলেছে।