সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে এমন বহু বাড়ি কিংবা আবাসন রয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সেপটিক ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা করা হয়নি। সেই বাড়িগুলির স্যুয়ারেজের জল সরাসরি গিয়ে মিশছে এলাকার নিকাশি নালায়। ফলে একদিকে যেমন দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছেন বাসিন্দারা, তেমনই নিকাশি নালা সাফ করতে গিয়ে রীতিমতো মল-মূত্র ঘাঁটতে হচ্ছে পুরসভার সাফাই কর্মীদের। উত্তর ও দক্ষিণ হাওড়া, শিবপুরের একাধিক ওয়ার্ডে এমন বহু বাড়ি রয়েছে, যারা নিয়ম না মেনে স্যুয়ারেজের লাইন সরাসরি নিকাশিনালার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। পুরসভার দাবি, স্যুয়ারেজের জল নিকাশিনালায় মিশলে গোটা এলাকায় রোগ সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ে। বিশেষ করে জলবাহিত রোগের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, বর্ষার সময় এলাকার জমা জল বের করার ক্ষেত্রেও পাম্পের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
তাই এবার হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষ সেপটিক ট্যাঙ্ক নেই, এমন বাড়ি বা ফ্ল্যাটগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হামিদ মুন্সি লেন, হরচাঁদ মুখার্জি লেন, আশুতোষ লেন, শ্রীনাথ কোলে লেন, গঙ্গারাম বৈরাগী লেনে ১২টি বাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেক বাড়ির মালিককে নোটিস পাঠিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, দ্রুত সেপটিক ট্যাঙ্ক না বসালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরসভার হুঁশিয়ারিতে ফল মিলেছে হাতেনাতে। ইতিমধ্যেই তিনটি বাড়ির মালিক সেপটিক ট্যাঙ্ক বসিয়েছেন বলে খবর। বাকি বাড়ির মালিকরা এই কাজের জন্য ১৫ দিন সময় চেয়েছেন। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘বাড়ির স্যুয়ারেজের জল নিকাশিনালায় গিয়ে মিশবে, এমন দৃশ্য কোনও আধুনিক সভ্য শহরে দেখা যায় না। পুরসভার কর্মীরা মল-মূত্র ঘেঁটে নিকাশিনালা পরিষ্কার করবেন, এটা হতে পারে না। মানুষকেও সচেতন হতে হবে।’