সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জমা পড়েছে। সেই তালিকায় অন্যতম, ঘটনার সময় অর্থাৎ বুধবার এবং বৃহস্পতিবার মিলিয়ে ৪৮ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ। সঙ্গে কয়েকজন নার্সের গোপন জবানবন্দি। এছাড়া সরকারি নথি ও টিকিট বিকৃত করা, মুচলেকা লেখানো, ঘটনার দিন সহ প্রায়শই রাতে সিনিয়র ডাক্তার না থাকা, অপারেশন থিয়েটারের বেহাল দশা, স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললে কটাক্ষের শিকার হওয়া সহ বিস্ফোরক সব অভিযোগের নথি রয়েছে। মুখ্যসচিব এদিন আরও বলেন, ‘দু’দিনেই প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছি। পরবর্তী রিপোর্ট আসবে তিনদিনের মধ্যে। আশা করি সিআইডির রিপোর্টও দ্রুত মিলবে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবেই।’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের ইউনিট ১ সি-এর চিকিৎসকরা সেদিন ডিউটিতে ছিলেন। ওটিতে থাকার কথা ছিল ওই বিভাগের একজন আরএমও, দু’জন সহকারী অধ্যাপক এবং তিনজন সিনিয়র রেসিডেন্টের (এসআর)। সঙ্গে অ্যানাস্থেসিওলজি বিভাগের একজন এসআর। অভিযোগ, এর মধ্যে পাঁচজন সেদিন হাসপাতাল চত্বরেই ছিলেন না। গাইনির আরএমও ও অ্যানাস্থেসিওলজির এসআর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তাঁদের বকলমে অপারেশনের গুরুদায়িত্ব সারেন তিন পিজিটি। প্রথম বর্ষের একজন পিজিটি প্রসূতিকে অচেতন করেন। অপারেশন পর্ব সমাধা হয় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দু’জন পিজিটির হাতে। চারজন প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ার খবর পেয়ে পঞ্চমজনের অপারেশনের জন্য তড়িঘড়ি চলে আসেন অ্যানাস্থেসিয়ার এসআর। যদিও ওটি নোটে অনুপস্থিত সহকারী অধ্যাপক এবং এসআরদের নাম ছিল।
মেদিনীপুর থেকে গ্রিন করিডর করে পিজি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে তিন প্রসূতিকে। দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য সংখ্যা এদিন পাঁচ থেকে বেড়ে আট হয়েছে। রাজ্যজুড়ে অবিলম্বে বিতর্কিত স্যালাইন ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ জারি হয়েছে। মুখ্যসচিব বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ওই সংস্থাকে স্যালাইন প্রোডাকশন করতে নিষেধ করেছিলাম। তারপর ওদের থেকে ওই ব্যাচের স্যালাইন নেওয়া হয়নি।’ স্যালাইন কাণ্ডে এদিন দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।