সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
২০২২ সালের ৪ এপ্রিল নদীয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠে। প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিস। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালি ওরফে ব্রজ এবং প্রভাকর পোদ্দারকে। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তারা আবার এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করে রঞ্জিত মল্লিক, দীপ্ত গয়ালি, আকাশ বাড়ুই, পীযূষকান্তি ভক্ত, অংশুমান বাগচী, সমরেন্দু গয়ালি ও এক কিশোরকে। ৮৫ দিনের মাথায় রানাঘাট আদালতে ২০৯ পাতার চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তাতে অবশ্য প্রভাকর ও ব্রজর পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয় রঞ্জিতকেও। সিবিআই তদন্ত এখনও জারি। এসবের মধ্যেই রানাঘাট মহকুমা আদালতে চলছে হাঁসখালি কাণ্ডের শুনানি।
এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ এবং শুনানির জন্য কোর্টের তরফে আগে থেকেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। সেই নোটিস তারা রিসিভও করে। কিন্তু তারপরেও নির্দিষ্ট সময়ে এজলাসে হাজির হননি সিবিআইয়ের অতিরিক্ত সুপার এম আর হজং এবং ডিএসপি অভয় কুমার। অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে কোনও চিঠিও দেননি। কেন তাঁরা এলেন না? বিচারকের এই প্রশ্নের সামনে নীরব ছিলেন তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। তারপরই বেনজির ভাবে দুই অফিসারের নামে জামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট জারি হয়। বিষয়টি নিয়ে পরেও মুখ খোলেননি সিবিআইয়ের আইনজীবী পঙ্কজ গুপ্তা। অভিযুক্ত প্রভাকর পোদ্দারের আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হাঁসখালি মামলার রায়ের দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে, তার শুনানি পর্বে সিবিআইয়ের পদস্থ আধিকারিকরাই সাক্ষী দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছেন না। তাঁরা কি নিজেদের আদালতের ঊর্ধ্বে বলে মনে করছেন?’