সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমাগম হয়েছে ভারতের দুই প্রান্তে। একদিকে উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলা, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগর মেলা। কুম্ভমেলার জন্য কেন্দ্রের সরকারের ঢালাও সাহায্য হলেও গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপই নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া গঙ্গাসাগর মেলা জাতীয় মেলা করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকারের সেব্যাপারে কোনও পদক্ষেপই নেই বলে অভিযোগ রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের। ঘটনাচক্রে সোমবার কেন্দ্রের মোদি সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর একটি বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রয়াগরাজ্যে কুম্ভমেলার মতো গঙ্গাসাগর মেলাকেও জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করার পুনারায় দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে কুম্ভমেলার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার ঢালাও ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ৬ হাজার বেডসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, দেড় লক্ষ শৌচাগারসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাত হাজারের বেশি স্পেশাল বাসসহ সুগম যাত্রাপথের জন্য একাধিক ব্যবস্থার তথ্য জানান দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রাজ্যের তহবিল থেকে করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আড়াই হাজারের বেশি বাস, ২১টি জেটি, ৩২টি ভেসেল, ৭০ লক্ষ জলের পাউচ, ১২০০০ অস্থায়ী টয়লেট, এয়ার ও ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স, ১৩০টি বেডসহ পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল, নিকটবর্তী হাসপাতালে ৩৮৫টি বেডসহ বহুবিধ পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কুম্ভ মেলার থেকে কোনও অংশে কম নয় গঙ্গাসাগর মেলা।
এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে মেলা নিয়ে তরজা তুঙ্গে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সারা ভারতের লোক আসেন গঙ্গাসাগরে। এই মেলাকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। কিন্তু কেন্দ্র কোনও সাহায্য না করে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। যদিও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, তৃণমূলের তরফে শুধু দাবি করলেই হয় না, কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করেও চলতে হয়। বিভিন্ন প্রকল্পের মতো এক্ষেত্রেও রাজনীতি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে রাজ্য।