শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
দামোদার ভ্যালি রিভার রেগুলেশন কমিটি (ডিভিআরআরসি) এবং রাজ্য সরকারের সেচদপ্তরের মধ্যে মেল চালাচালির সম্পূর্ণ তথ্য সামনে আসায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর থেকেই রাজ্য সরকার পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে ধীরে ধীরে জল ছাড়ার অনুরোধ করেছিল। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘বন্যার জন্য ইতিমধ্যে ডিভিসিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন তাঁর সেই অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হল। বাংলাকে ভাতে মারার কেন্দ্রীয় চক্রান্ত যে অব্যাহত, তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ রইল না।’
‘ম্যান মেড’ বন্যার প্রতিবাদে ডিভিআরআরসি থেকে পদত্যাগ করেছেন সেচদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ওয়েস্ট) উত্তম রায়। রাজ্যের তরফে তাঁর উপরেই ছিল ডিভিআরআরসির সঙ্গে বার্তা বিনিময়ের দ্বায়িত্ব। ১১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধীরে ধীরে জল ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি টানা মেল পাঠিয়ে গিয়েছেন ডিভিআরআরসির মেম্বার সেক্রেটারিকে। ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে জল ছাড়ার হার ২৬ হাজার কিউসেক থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার কিউসেক করার অনুরোধ তিনিই করেছিলেন। কিন্তু আগে থেকে জল ছাড়া শুরু না করায় ওই দিন রাত ৯টা ৫ মিনিটে ৮০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়তে বাধ্য হয় ডিভিসি। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় অন্তত পরের দিন সকাল পর্যন্ত জল ছাড়ার পরিমাণ কম রাখতে সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অনুরোধ করেন সেচদপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দুশ্যন্ত নারিয়াল। ১৭ তারিখ সকাল ৬টা ২৮ মিনিটে দেড় লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ার কথা জানিয়ে মেল করা হয়। তার ঠিক সাত মিনিটের মধ্যে আচমকাই তা বিপুল হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, শুক্রবারও ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়া অব্যাহত ছিল। এদিন বিকেল ৫টার তথ্য অনুযায়ী, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৩৫ হাজার ৪৫০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবারও বন্যার মুখে পড়েছে পাঁশকুড়া। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়া শহরে গড়পুরুষোত্তমপুরে ভাঙা নদীবাঁধ দিয়ে কংসাবতীর জল ঢোকা শুরু হয় ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘাটাল মহকুমার বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হতে শুরু করেছে নতুন করে। দ্বারকা ও ব্রাহ্মণী নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় বিপদ বাড়ছে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম ব্লকে। খানাকুলের বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকা এখনও জলমগ্ন। ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীতে স্নান করতে গিয়ে এদিন তলিয়ে যায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, দশম শ্রেণির ছাত্র কুমার মাঝি। এদিন, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যের উচিত ক্ষতিপুরণের জন্য কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাওয়া।’ রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ত্রাণকার্যের তদারকি করেছেন। মানুষ জানে, অসময়ে কারা মানুষের সঙ্গে আছে।’