শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি চলছে। এর জেরে শৈলশহর দার্জিলিং, মিরিক, কার্শিয়াং, রংলিরংলিয়াট, পুলবাজারে ধস নেমেছে। কোথাও পাহাড়ের পাথর, মাটি ধসে রাস্তার উপর পড়েছে। আবার কোথাও ধসে গিয়েছে রাস্তার একাংশ। সবমিলিয়ে জেলায় নতুন করে ধস কবলিত এলাকার সংখ্যা ২০টি। সাতটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘুম থেকে সুখিয়াপোখরি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। জাতীয় সড়ক সহ দু’দিনে দার্জিলিংয়েই ধসে বিধ্বস্ত ৪২টি জায়গা। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, ছোট ও বড় মিলিয়ে বেশ কিছু ধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ের মতো কালিম্পংও ধস বিধ্বস্ত। বিশেষ করে কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিকধারা ফের ধসে বিধ্বস্ত। পাহাড়ের বোল্ডার, মাটি নেমে রাস্তা বন্ধ। সংশ্লিষ্ট রাস্তার সেভক থেকে শ্বেতীঝোরা পর্যন্ত অংশের একাধিক জায়গা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরবাইরে কালিম্পংয়ে আরও কয়েকটি রাস্তা ধসের জেরে বন্ধ। তবে দার্জিলিংগামী ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস না নামলেও বৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট সড়কের প্রায় ১২টি জায়গায় গর্ত হয়েছে। পুজোর মুখে সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। ট্যুর অপারেটার সম্রাট সান্যাল বলেন, ধসে সিকিমের লাইফ লাইন বিধ্বস্ত হওয়ায় পর্যটন ব্যবসা মার খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিস্তার জলে প্লাবিত নেওলা এলাকা থেকে ১০ জনকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। অন্যদিকে, কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজারের রাস্তায় তিস্তার নদীর জল উঠেছে। শিলিগুড়িতে মহানন্দা, বালাসন, চামটাও টইটুম্বুর। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী গ্রামবাসী।