গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
এসএসকেএম হাসপাতালে কার্যত বিরক্ত ও ক্ষোভ থেকেই কথাগুলো বলছিলেন আমতলার বাসিন্দা মতিন মণ্ডল। তাঁর কথা মন দিয়ে শুনে একই সুরে সুর মেলালেন গোবরডাঙা থেকে চোখের ডাক্তার দেখাতে আসা আসাদুল মোল্লাও। তাঁদের মতো অন্যান্য রোগী ও তাঁদের পরিবারের দাবি, বিক্ষোভ, আন্দোলন সব ঠিক আছে। অনেক হয়েছে। সরকারকে চাপে ফেলে সব দাবি মানতে বাধ্য করেছেন চিকিৎসকরা। এখনও এত টালবাহানা কেন? তাহলে কি অভয়ার জন্য বিচার চাইতে গিয়ে নিজেদের দায়-দায়িত্ব-শপথ সব ভুলে মেরে দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা? বুধবার পিজি হাসপাতালে কার্যত এমনই প্রশ্ন উঠল রোগীদের মুখে মুখে।
আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর লাগাতার ৩৯ দিন ধরে কর্মবিরতিতে রয়েছে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতাসহ রাজ্যে প্রায় সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে ইমার্জেন্সি ও ওপিডিতে ডাক্তারের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তীব্র ভোগান্তিক শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত ডাক্তারহীনতায় বিনা চিকিৎসায় রাজ্যজুড়ে মারা গিয়েছেন ৩৯ জন। সেই তথ্য সুপ্রিম কোর্টেও জানান রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য শুনেই চিকিৎসায় ফেরতের জন্য আন্দোলনকারীদের কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে ডেডলাইন দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। তারপর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে অবমাননা করেই যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তার প্রভাব পড়ছে রোগীদের উপর। এদিনও পিজি হাসপাতালে ভোগান্তির দৃশ্য স্পষ্ট। ওপিডি সামনে লম্বা লাইন রোগীদের। বেলা যত বেড়েছে সেই লাইন ততই দীর্ঘ হয়েছে। লাইনে অপেক্ষারত রোগীদের দাবি, এই চিকিৎসক না থাকাটা এবার বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাঁরা বলছেন, ‘অভয়ার জন্য বিচার দাবি করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে অবিচার করছেন আন্দোলনকারীরা।’ শর্মিষ্ঠা মণ্ডল নামে এক রোগীর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করে বেরিয়ে দেখলাম জুনিয়র চিকিৎসকরা ঢাক-ঢোল, খোল-কর্তাল বাজিয়ে নাচছেন। এটা কি অভয়ার জন্য বিচার চাওয়ার উল্লাস? নাকি শুধুমাত্র নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে কাজ হাসিল করার উল্লাস?’ তবে দাবি মেটার পরও কাজে ফিরতে তাঁদের এত টালবাহানা কেন? এই প্রশ্নই এখন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ঘুরপাক খাচ্ছে।