সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে একটি চক্র চালাতেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের সংস্থাই ২০২১ সাল থেকে হাসপাতালে বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করছেন। বেশি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ দেওয়া হয়নি অন্য কোম্পানিগুলিকে। দেখা গিয়েছে, টেন্ডার প্রাপক সংস্থাগুলির জন্ম ২০২১-এ। সামান্য কয়েক বছরে তাদের টার্নওভার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বেআইনিভাবে ওষুধ কেনা, হাসপাতাল বর্জ্য, দেহ পাচার করেই সর্বাধিক মাত্রায় নগদ এসেছে সন্দীপের সঙ্গী বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা, কৌশিক কোলে, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও সল্টলেকের দুই ব্যবসায়ীর হাতে। তাঁদের আয়কর রিটার্নের নথি পরীক্ষা করেছেন তদন্তকারীরা। তাতে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘনিষ্ঠদের কোম্পানির আয়ের পরিমাণ প্রতিবছর বেড়েছে মাত্রাছাড়াভাবে। একাধিক জায়গায় সম্পত্তি কিনেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও তাঁর শাগরেদরা। শেয়ার সহ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়েছে টাকা।
এই কালো টাকার খোঁজ করতেই এদিন সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ সন্দীপবাবুর বেলেঘাটার বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি টিম। কিন্তু গেট ছিল তালাবন্ধ। প্রাক্তন অধ্যক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এসে পৌঁছন তিনি। তালা খোলার পর শুরু হয় তল্লাশি। অন্য টিম পৌঁছে যায় হাওড়ায় বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা, কৌশিক কোলের বাড়িতে। প্রসূনের সোনারপুরের বাড়িতে হাজির হয় ইডির আর একটি দল। হুগলির চন্দননগরে পাদ্রিপাড়ায় সন্দীপের শ্বশুরবাড়ি ও তাঁর এক শাগরেদের বাড়িতেও তল্লাশি শুরু হয়। প্রত্যেকের বাড়ি থেকেই হাসপাতালে জিনিস সরবরাহ করার বিল ও ভাউচার পাওয়া গিয়েছে। দীর্ঘ তল্লাশির পর প্রসূনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিংয়ে, সন্দীপের বাংলোয়। প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সেই বাংলোর জমি কম টাকায় কিনতে সাহায্য করেছিলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। গত ৯ আগস্ট ঘটনার দিন তিনি কর্মস্থল ছেড়ে আর জি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কেন? সেই প্রশ্নেরও উত্তর খোঁজা হচ্ছে।