সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
সূত্রের খবর, নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিসের তরফে জেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল, সঞ্জয়কে সশরীরে আদালতে আনা হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির জন্য আর্জি জানিয়েছিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সেই মতো এদিন ধৃতকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করায় জেল কর্তৃপক্ষ। প্রথমে সে বিচারকের সঙ্গে কথা বলে। সওয়ালের শুরুতেই সঞ্জয়ের আইনজীবী কবিতা সরকার তাঁর মক্কেলের জামিন চান। তিনি বলেন, ‘ধৃত এই অপরাধের সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত নয়। উচ্চ আদালতে অভিযুক্তের কোনও জামিন সংক্রান্ত মামলা আটকে নেই। তার বাড়িও কলকাতায়। সে বহিরাগত নয়। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক।’ এরপরই শিয়ালদহ এসিজেএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জানতে চান, সিবিআইয়ের আইনজীবী কোথায়। এজেন্সির তরফে আদালতে কে আছেন, খোঁজ পড়ে। এক মহিলা উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট তদন্তকারী অফিসার। তাঁর কাছে বিচারক আইনজীবীর কথা জানতে চান। আইনজীবী তখনও এসে পৌঁছননি বলে আদালতকে জানান তিনি। এরপর তিনি সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এজলাসের বাইরে আসেন। কথা বলেন এজেন্সির লিগ্যাল সেলের সঙ্গে। এজলাসে ফিরে এসে জানান, আইনজীবী রাস্তায় আটকে রয়েছেন। সময় লাগবে। এরপরই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয় আদালত। বিচারক বলেন, ‘এটা সিবিআইয়ের চরম গাফিলতি। সাড়ে ৪টে বাজে। এখনও সরকারি আইনজীবী রাস্তায়! কী করব? বেল দিয়ে দেব? এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।’ এরপর বিচারক দশ মিনিট সময় দেন সিবিআইয়ের আইনজীবীকে আদালতে পৌঁছনোর জন্য। অবশেষে বিকেল ৫টা ১০ নাগাদ আদালতে হাজির হন তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দীপক পোরিয়া। সঞ্জয়ের আইনজীবী তাঁকে দেখে বলেন, ‘পিপি হিসেবে যাঁকে দেখানো হয়েছিল, সেই ব্যক্তি ইনি নন।’ দীপক পোরিয়া জানান, তিনি তদন্তকারী সংস্থার নিয়মিত আইনজীবী। মামলার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে বিচারক সঞ্জয়কে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।