পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
সুবোধ সিং। সমধিক পরিচিত ‘জুয়েল থিফ’ নামে। নামটা শুনলেই এ রাজ্যের ব্যবসায়ীদের শিরদাঁড়া দিয়ে ভয়ের হিমেল স্রোত নেমে আসে। সেই সুবোধকে বিহারের বেউর জেল থেকে এ রাজ্যে নিয়ে এল সিআইডি। নেপথ্যে, নিখুঁত প্ল্যানিং। রাত ৩টে ২০ মিনিটে রাজ্যের সীমানায় গাড়ির কনভয়টি ঢুকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁফ ছাড়লেন পুলিসকর্তারা। তাহলে কি মিশন অ্যাকমপ্লিশড? না, এই সবে শুরু। সব ‘অদৃশ্য হাত’ পেরিয়ে শুধুমাত্র বাংলায় নিয়ে আসা গিয়েছে সুবোধ সিংকে। মূল মামলা, ২০২২ সালে রানিগঞ্জে স্বর্ণ বিপণিতে তার ডাকাতদলের হানা। কিন্তু তারপর একের পর এক মামলায় খুল্লামখুল্লা নাম জড়িয়েছে সুবোধের। একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতি, ব্যবসায়ীদের ফোন করে তোলাবাজি, খুনের হুমকি। তবে রানিগঞ্জে ডাকাতির মামলাতেই রবিবার তাকে আসানসোলের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মিশা মৃনায়ার এজলাসে তোলা হয়। আজ, সোমবার ফের সুবোধ সিংকে আসানসোল আদালতে এডিজে-১ শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে পেশ করা হবে।
শনিবার সুবোধকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে শেষরাতে আসানসোলে পৌঁছয় সিআইডির টিম। আসানসোল দক্ষিণ থানার সাউথ ফাঁড়িতে রাখা হয় তাকে। তারপর ভোরের আলো ফুটতেই নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। কমব্যাট ফোর্স, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রধারী পুলিসি নিরাপত্তার মধ্যেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেখান থেকে আদালত। বের হওয়ার সময় সুবোধ বলে, ‘ছ’বছর আমি জেলবন্দি। বাংলার পুলিস আমাকে ফাঁসাচ্ছে।’ বছর চল্লিশের এই গ্যাংস্টার এদিন হাজতেই আইনজীবীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলে। তার আচরণে ভয়ের লেশমাত্র ছিল না।