পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
২৭ জুন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর আগামী দু’সপ্তাহের দীর্ঘকালীন পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ৪ জুলাইয়ের পর উত্তর বঙ্গোপসাগরে ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর আগে একটি নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল জুনের শেষদিকে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বর্ষা মরশুম শুরু হলে বঙ্গোপসাগরে ঘন ঘন নিম্নচাপ তৈরি হয়। দক্ষিণবঙ্গসহ পূর্ব ভারত এবং দেশের একটা বড় অংশে বর্ষার বৃষ্টি কেমন হবে তা বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপগুলির গতি-প্রকৃতির উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। জুনের শেষে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি রবিবার দুর্বল হয়ে ঘূর্ণাবর্ত হিসেবে ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন এলাকার দিকে সরে গিয়েছে। তবে এর প্রভাব এখনও রাজ্যের উপর থাকবে। এটি বেশি প্রভাব ফেলবে উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির কোনও কোনও স্থানের জন্য ৪ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির বিশেষ সতর্কবার্তা কিছু নেই। তবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। মুর্শিদাবাদ ও সংলগ্ন এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের ছোঁয়ায় গরম থেকেও স্বস্তি মিলেছে। কয়েকদিন আগের হাঁসফাঁস করা গরম আপাতত উধাও। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রবিবার ৩০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি কম। তাপমাত্রা কমেছে জেলাগুলিতেও।
জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি ৬০ শতাংশের কম। উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুরে ঘাটতি ৬০ শতাংশের কম রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলা এবং উত্তরবঙ্গের মালদহে জুনে বৃষ্টির ঘাটতি ৬০ শতাংশের বেশি। জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদে (৩২.৯ মিমি)। ওই জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৮৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। মালদহে ঘাটতি রয়েছে ৭৭ শতাংশ। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে—এই ব্যাপারে শীর্ষে কোচবিহার। সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ ১২৭১.৭ মিমি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১২৫ শতাংশ বেশি।