আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এবারের লোকসভা ভোটে জেতা ২৯টি আসনের মধ্যে কোচবিহারে জয়ের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করে তৃণমূল। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে তারা শেষ পর্যন্ত জিততে না পারলেও শক্ত লড়াই দিতে পেরেছে। চা বাগান এলাকার বুথভিত্তিক যে রিপোর্ট তৃণমূলের কাছে এসেছে, তাতে এই চিত্র স্পষ্ট। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগান এলাকায় মোট বুথের সংখ্যা ৪৮৩। তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ২৪৪টি বুথেই। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পাটকাপাড়া চাবাগানের ১২/৭৮ নম্বর বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৪১৭ ভোট, সেখানে বিজেপি পায় ৩২৫ ভোট। আবার আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের কোহিনুর চা বাগানের ১০/২২৫ নম্বর বুথে তৃণমূল ভোট পেয়েছে ৫২৭টি, বিজেপি ২২১। কালচিনি ব্লকের সুভাষিনী চা বাগানের চারটি বুথেই তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। এই চা বাগানের ১১/১২২ নম্বর বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৭৯৩ ভোট, আর বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ৩১৭ ভোট। মাদারিহাট ব্লকের তুলসিপাড়া চা বাগানের সব ক’টি বুথে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার ১ ও ২, কালচিনি, মাদারিহাট, ফালাকাটা, মালবাজার, মেটেলি, নাগরাকাটা, বানারহাট ব্লকের চা বাগানগুলিতেও তৃণমূলের ফল আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে।
দার্জিলিংয়ের সমতলের চা-বাগানগুলিতে তৃণমূল আগের থেকে অনেকটাই বেশি শক্তি অর্জন করেছে। এই অঞ্চলের ৭১টি বুথের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ৩৮টি বুথে। ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ব্লকের চা বাগানের বুথগুলিতে কমবেশি একই অবস্থা। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের জয়ন্তিকা চা বাগানের ২৭/২৩৫ নম্বর বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৭০১ ভোট, যেখানে বিজেপি পেয়েছে ২২১টি ভোট।
চা বাগান এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী করতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে। এছাড়া, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে পড়ে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করে গিয়েছেন। এই ফলাফল সামনে এনে তৃণমূল বলছে, চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নয়নে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ করেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাগানে ক্রেস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে নানা উন্নয়ন করেছে। তৃণমূল নেতা ঋতব্রতর দাবি, লোকসভার ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে, পরেরবার বিজেপি সাফ হয়ে যাবে।