আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৪৭ হাজারের কিছু বেশি। এদিকে, রিভিউয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩ হাজার
৫১০টি। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ১ হাজার ৭৮৩। আর স্ক্রুটিনির আবেদন জমা পড়েছে ৪১ হাজার ৭৭৯টি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৯৩১টি। তবে উল্লেখযোগ্য হল, এ বছর মোট ৬ হাজার ৬৩২টি স্কুল থেকেই কোনও না কোনও পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। অর্থাৎ, সিংহভাগ স্কুলের কোনও না কোনও পরীক্ষার্থীই আবেদনকারীর তালিকায় রয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, মূল্যায়নে কম নম্বর দেওয়ার ঘটনা যেমন হয়ে থাকতে পারে, তেমনই প্রশ্নপত্র বিশেষ করে ইংরেজির প্রশ্নপত্র একটু অন্য ধাঁচের হওয়ায় নম্বর কম উঠে থাকতে পারে। ফলে, রিভিউ-স্ক্রুটিনি করলে যে নম্বর বাড়বেই, এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে, সংখ্যাগুলি রীতিমতো চমকপ্রদ।
এ বছর মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয় ২মে। সেদিন থেকেই স্কুলগুলির মাধ্যমে রিভিউ-স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করতে পারছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। ১৮ মে পর্যন্ত এই আবেদন গ্রহণ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বছর রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফল পরীক্ষকদের কাছ থেকে অনলাইনে জমা নিচ্ছে পর্ষদ। ৩০ মে পর্যন্ত সেই ফল গ্রহণ করা হয়। পর্ষদের খবর, দ্রুতই প্রকাশিত হতে চলেছে রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফল। গত বছর দেখা গিয়েছিল, রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশের পরে, মেধাতালিকার প্রথম দশে আরও চারজন ঢুকেছিল। আর র্যাঙ্ক পরিবর্তন হয়েছিল দু’জনের। সব মিলিয়ে মেধাতালিকায় পরিবর্তন ছিল ছ’টি। এবার সেই সংখ্যা বাড়ে কি না, সেটাই দেখার। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, রিভিউ-স্ক্রুটিনির আবেদন বাড়লে বলা যায়, পরীক্ষার্থীরা কোনও কারণে ফল নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। দ্রুত ফল প্রকাশের পাশাপাশি নিয়ম মেনে আরটিআইয়ের মাধ্যমেও খাতা দেখাক পর্ষদ।
অন্যদিকে, সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বাকি রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফল তাঁরা আগামী সাতদিনের মধ্যেই প্রকাশ করে ফেলবেন। প্রসঙ্গত, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বাড়তি অর্থের বিনিময়ে তৎকাল রিভিউ-স্ক্রুটিনির ব্যবস্থা করেছিল। তাতেই প্রথম দশের মেধাতালিকায় ব্যাপক রদবদল হয়। নতুন করে মেধাতালিকায় ঢোকেন ১২ জন। আর তিনজনের র্যাঙ্কে পরিবর্তন হয়। তৎকালেই ২২, ৮৩৬টি উত্তরপত্রের জন্য আবেদন জমা পড়ে। আর নম্বর পরিবর্তন হয় সাড়ে পাঁচ হাজারটিরও বেশি উত্তরপত্রে। নম্বর পরিবর্তন হয় অন্তত ৪ হাজার ৭০০ জনের।