মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিদিনই তৃণমূলকে চড়া সুরে বিঁধতে কসুর করছে না সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। কিন্তু এবার পাল্টা তথ্য হাজির করল জোড়াফুল শিবির। তৃণমূল সরকারে আসার আগে বাম জমানায় নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটাই এখন হাতিয়ার তাদের। বৃহস্পতিবার তৃণমূল দাবি করেছে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীকে কোনও পরীক্ষায় বসতে হয়নি। অথচ দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে চাকরি পেয়ে যান। তৎকালীন সময়ে সরকারে থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে সিপিএম। সিপিএমের সুপারিশেই হয়ে যায় তাঁর কর্মসংস্থান। এদিন তৃণমূলের তরফে যে কাগজ সামনে আনা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, চাকরিতে যোগদানের দিন, সময় উল্লেখ করে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের প্রিন্সিপালকে চিঠি দিয়েছেন মিলি ভট্টাচার্য (বিয়ের পর চক্রবর্তী)। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক শ্যামনগর রবীন্দ্র ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ১৯৮৭ সালে চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন মিলিদেবী। সুজনবাবুর পরিবারের আরও অনেকের চাকরি হয়েছেন। সময়মতো সব তথ্য সামনে আনা হবে।
ঠিক এই প্রেক্ষাপটে এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম জমানায়
নিয়োগ দুর্নীতির আরও তথ্য হাজির করেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতা জেলা কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক দিলীপ সেন স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর স্ত্রী বিজলি সেনও শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও তৃণমূলের প্রকাশিত নামের তালিকায় রয়েছে দীপক সেন এবং তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নাম। সিটু নেতা পিঙ্গাক্ষ মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা মজুমদার। সিপিএম নেতা নারায়ন সরকারের স্ত্রী বীনাপাণি সরকার, ভাইপো মনোজ সরকার এবং আত্মীয় রজত অধিকারীর নাম।
কুণাল বলেছেন, সিপিএমের সব হোলটাইমারদের বাড়িতে সরকারি চাকরি হয়েছে। তাই সুজনবাবু কিংবা অন্য সিপিএম নেতাদের অনুরোধ করব, তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজের পরিবারের দিকে তাঁকান। তৃণমূলের আনা অভিযোগ সম্পর্কে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, দুর্নীতিতে বেসামাল তৃণমূল অলীক কুনাট্য করেই চলেছে। বুদ্ধদা, সূর্যদা, গৌতমদা, মহম্মদ সেলিম সবার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা
প্রচার করেছে। এবার আক্রমণ আমাকে,
আর স্ত্রীকে। চাকরিতে যোগদানের চিঠিতে ‘অথেন্টিকেশন’ বা অনুমোদনের তারিখ ২০২০ সালের হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।