মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
২০০৯ সালে অঞ্চল (রিজিয়ন) ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করত স্কুল সার্ভিস কমিশন। ক্যাগের তথ্য বলছে, সেবার ইস্টার্ন রিজিয়নে ৬ হাজার ৪৯৩ জনের নম্বরে হেরফের করা হয়েছিল। নর্দান রিজিয়নে সেই সংখ্যাটা ১১ হাজার ২১। সাদার্ন রিজিয়নে ৮ হাজার ৩৪ জনের ক্ষেত্রে এই অসঙ্গতি মিলেছে। ওয়েস্টার্ন রিজিয়নে ১২ হাজার ৫৫৩ জন প্রার্থীরই নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। সাউথ-ইস্টার্নে গরমিল ছিল ৮ হাজার ৫৪৬ জনের প্রাপ্ত নম্বরে। রিপোর্টে আরও দাবি, ২০০৯-১০ সালে স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নের জন্য একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই খাতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। বাইরে থেকে তথ্যবিকৃতি হয়েছিল বলেও নিশ্চিত ক্যাগ।
এপ্রসঙ্গে ২০১৭ সালে এসএসসি অবশ্য জানায়, কম্পিউটারে তথ্য তোলার সময় ভুল করেছিলেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। পরে তা সংশোধনের সময় শুধুমাত্র অ্যাকাডেমিক স্কোর পরিবর্তন করা হয়। ক্যাগের অবশ্য বক্তব্য, এ থেকে পরিষ্কার যে সেই সময় এসএসসি এব্যাপারে নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছিল। এত খরচ করে বেসরকারি সংস্থাটিকে দিয়ে তৈরি সেই স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিও কাজে আসেনি। শুধু সহকারি নয়, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক গরমিলের উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সরকারকে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ক্যাগ। তাও অবশ্য নেওয়া হয়নি। সিপিএম নেতা বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীরা জানিয়েছেন, ‘বাম আমলে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা সামনে আসুক।’
এদিকে, রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ২০১২ সালে বাম আমলে তৈরি মেধাতালিকার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেক্ষেত্রেও মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা, অ্যাকাডেমিক স্কোর সম্পর্কিত কোনও তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি আমাদের কাছে ২০১২ সালের নিয়োগের তথ্য চেয়েছে। কিন্তু বাম আমলে তৈরি সেই মেধাতালিকার কোনও তথ্যই খুঁজে পাচ্ছি না।’ অর্থাৎ, আবারও দুর্নীতির ইঙ্গিত।