মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
ইডি জেনেছে, অয়ন প্রথম জীবনে এক প্রভাবশালী নেতার হাত ধরে রাজনৈতিক যোগাযোগ গড়ে তোলেন। ওই নেতা তাঁকে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়ে গিয়ে কাউন্সিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। পুরসভায় যেতে যেতে একাধিক মেয়র বা চেয়ারম্যানের কাছের লোক হয়ে ওঠেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন কাজে আসতেন দুই প্রভাবশালীর ডানহাত। তাঁদের মাধ্যমেই ক্ষমতাশালী দুই নেতার সঙ্গে পরিচয় হয় অয়নের। তাঁর সংস্থাকে কাজ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান বা কমিশনের কাছে ওই প্রভাবশালীরা সুপারিশ করতেন বলে অভিযোগ। শান্তনু ক্ষমতাশালী হওয়ার পর অয়নের সঙ্গে আরও বড় মাপের নেতাদের আলাপ হয়ে যায়। তিনি তাঁদের ‘ঘরের ছেলে’ হয়ে ওঠেন। তদন্তে উঠে এসেছে, এর বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা তাঁরা অয়নের কাছ থেকে পেয়েছেন। অভিজাত হোটেলে তাঁদের নিয়ে গিয়ে পার্টি করেছেন। তাঁদের পুজো বা সামাজিক অনুষ্ঠানে নগদের জোগান দিয়েছেন। এর বাইরেও ‘ক্যাশ’ পাঠিয়েছেন। এর প্রমাণ মিলেছে অয়নের সল্টলেকের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নোটবুকটি থেকে। সেটি ঘেঁটে অফিসাররা জেনেছেন, মাসে এক একজনকে পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন অয়ন। পুজো বা অন্য কোনও উৎসবে এর পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এর বাইরেও বিভিন্ন প্রভাবশালীকে প্রয়োজন মতো টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। টাকার পরিমাণ ও কোন তারিখে গিয়েছে সেটিও লিখে রেখেছিলেন এই প্রোমোটার। প্রভাবশালী ছাড়াও বিভিন্ন কাউন্সিলার সহ অন্যদের নাম রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এদিকে এজেন্সি অয়নের আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে। পাশাপাশি শান্তনুর ২০টি অ্যাকাউন্টে থাকা ৫০ লক্ষ টাকা ফ্রিজ করে দিয়েছে তারা। তবে টাকার অঙ্ক কম হওয়ায় তদন্তকারীদের অনুমান, টাকা আত্মীয় বা শাগরেদদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে রেখেছেন ওই যুবনেতা। এখন তারই খোঁজ চলছে।