বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
গত ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার পর ১ হাজার টাকার থেকে দামি জামাকাপড় প্রভৃতির উপর ১২ শতাংশ ও তার থেকে কম দামের সামগ্রীর উপর ৫ শতাংশ হারে জিএসটি ছিল। জিএসটি কাউন্সিলের সাম্প্রতিক বৈঠকে ১ হাজার টাকার থেকে কম দামি জামাকাপড়, হোসিয়ারি সামগ্রীর উপর করের হার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। ১ হাজার টাকার বেশি দামি সামগ্রীর উপর জিএসটি হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এদিন ফেডারেশন অব হোসিয়ারি ম্যানুফাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, ওয়েস্টবেঙ্গল হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব টেক্সটাইল ট্রেড অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি, ওয়েস্টবেঙ্গল গারমেন্ট ম্যানুফাকচারিং অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন-সহ আরও কয়েকটি সংগঠনের কর্তারা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, জিএসটি হার এখন যেরকম আছে সেটাই রাখা হোক এটাই তাঁদের একমাত্র দাবি। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এদিন রাজ্যের অর্থসচিব মনোজ পন্থকে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনগুলি।
হোসিয়ারি ও রেডিমেড পোশাক উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির বিভিন্ন সংগঠনের কতা অশোক টোডি, কে বি আগরওয়াল, সঞ্জয়কুমার জৈন, আলমগীর ফকির প্রমুখরা জানান, এক হাজার টাকার কম দামের সামগ্রী মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা কেনেন। জিএসটি বৃদ্ধির ফলে যে মূল্যবৃদ্ধি হবে তার জেরে তাঁদের কেনার পরিমাণ কমে যাবে। এমনিতেই গত এক বছরের মধ্যে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে নতুন হারে জিএসটি নেওয়া শুরু হলে আরও ৭ শতাংশ দাম বাড়বে। বাজারে চাহিদা কমলে উৎপাদন কমে যাবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিল্পের উপর। শিল্পোদ্যোগীদের বক্তব্য, সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য জিএসটি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এর ফলে বাস্তবে আয় কমে যেতে পারে। কারণ উৎপাদন কমলে জিএসটি বাবদ আয় হ্রাস পাবে। তাছাড়া ছোট ইউনিটগুলির মধ্যে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে। এখন ছোট উৎপাদনকারীরা জিএসটিতে নাম নথিভুক্ত করে নির্ধারিত হারে টাকা জমা করছিলেন।