বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা এই মূল্যায়নে অংশ নিতে পারবে। ১২ নভেম্বর এমসিকিউ ধাঁচে অফলাইনে পরীক্ষা হওয়ার কথা। অর্থাৎ, পঠনপাঠন শুরুর আগেই এই পরীক্ষার জন্য স্কুল খুলতে হবে। কোভিড বিধি মেনে বড় হলঘরে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই সমীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রধান শিক্ষকদের জন্যও থাকবে প্রশ্নাবলি। তাঁরাও নির্দিষ্ট ফরম্যাটে উত্তর লিখে পাঠিয়ে দেবেন। অক্টোবরের শুরুর দিকে ন্যাসের প্রস্তুতির জন্য প্রশ্নাবলি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন স্কুলে। তা অবশ্য রাজ্য সরকারের তরফেই গিয়েছে। বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ছিল তাতে। পড়ুয়াদের মধ্যে তা বিলিও করে দেওয়া হয়েছে। তা মূল্যায়ন করতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এর মধ্যেই ন্যাসের তালিকায় নাম নেই দেখে দমে গিয়েছে স্কুলগুলি।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রের খবর, তাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই স্কুল নির্বাচন করেছে কেন্দ্র। মনে করা হচ্ছে, ইউডাইসের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তা করা হয়েছে। তাতে বিভিন্ন জেলার নামী স্কুল, সরকারি স্কুল একেবারে বাদ গিয়েছে। কলকাতায় যেমন হিন্দু, হেয়ার বা অন্য সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুল সেভাবে নেই। তার পরিবর্তে রয়েছে অনামী বেশকিছু স্কুল। আর রয়েছে বেশকিছু নামী বেসরকারি স্কুল, যাদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সেভাবে কোনও সম্পর্ক নেই। অধিকাংশই রাজ্য সরকারের অধীন বোর্ডগুলির অধীনেও নেই। অথচ তারা সুযোগ পেয়েছে।
একজন শিক্ষক বলেন, তুলনায় কম নামী স্কুলগুলিতে কেমন পড়াশোনা হচ্ছে, কেন্দ্র হয়তো তা দেখতে চেয়েছে। সেক্ষেত্রে কিন্তু নামী বেসরকারি স্কুলগুলির অন্তর্ভুক্তির যুক্তিটা খাটে না। আবার অনেক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণি বা পঞ্চম শ্রেণিকে নির্বাচিত করা হয়নি। অষ্টম এবং দশম শ্রেণি নির্বাচিত হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে উল্টোটা। তাই কীসের ভিত্তিতে এই তালিকা, সে ব্যাপারেও ধোঁয়াশায় শিক্ষাদপ্তর থেকে শুরু করে স্কুলগুলি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, এই তালিকা কীভাবে তৈরি করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। হুগলি জেলায় যেমন হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের পাশাপাশি উত্তরপাড়া অমকেন্দ্র বিদ্যাপীঠ বা মাখলা দেবীশ্বরী বিদ্যানিকেতনের মতো স্কুলগুলি নির্বাচিত হলেও উত্তরপাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় বা আরও অনেক নামী স্কুল তালিকায় স্থান পায়নি।
শিক্ষাদপ্তরের এক কর্তা বলেন, হয়তো রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলতেই এরকম তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাই সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিকেই আমরা এই সমীক্ষায় বসাব। একাধিক জেলার ডিআইও স্বীকার করেছেন, এই তালিকা তাঁদের কাছেও অবাস্তব মনে হয়েছে। তবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে এই তালিকা অগ্রাহ্য করার জন্য।