বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্য পুলিসের প্রতিটি থানায় আধুনিকীকরণ হয়েছে। খোলনলচে বদলেছে জেলার থানাগুলির। বাম জমানায় থানায় থাকা লজ্ঝড়ে গাড়ি বদলে ভালো মানের নতুন গাড়ি এসেছে। প্রতিটি থানাতেই এসেছে একাধিক গাড়ি। এলাকায় টহলদারি বাড়ানো এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যাতে পুলিসের উপস্থিতি আম জনতার চোখে পড়ে। কিন্তু গাড়ি চালানোর জন্য চালকের বড়ই আকাল। চালক না-থাকায় অধিকাংশ গাড়ি বসে থাকছে। অধিকাংশ জায়গায় লাটে উঠেছে টহলদারি। ভাড়া করা বা চুক্তিভিত্তিক ড্রাইভার রেখে থানার কাজকর্ম চালাতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে তাঁদের তল্লাশি অভিযানে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। তাঁদের মাধ্যমে পুলিসি অভিযানের তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। যে সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স রয়েছে তাঁদের দিয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছে থানার আইসিরা।
রাজ্য পুলিস সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের পর চালক পদে কোনও নিয়োগই হয়নি। এর মাঝে বিপুল সংখ্যায় পুলিস ড্রাইভার অবসর নিয়েছেন। তাই সিংহভাগ থানাতেই পুলিস-চালকের সংখ্যা শূন্যে ঠেকেছে। রাজ্য পুলিসের পরিসংখ্যান বলছে, সব জেলা মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা ৩৯৬৬। কবে নতুন চালক নিয়োগ করা হবে তাই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি প্রশাসনের তরফে। এই পরিস্থিতি শর্ট টার্ম পলিসি হিসেবে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের এই কাজে ব্যবহার করানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ডিজি। তাঁদের এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
তবে কনস্টেবলদের এই কাজে তুলে নেওয়া হলে থানার সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পুলিস মহলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, চালকের মতোই কনস্টেবল পদে বহু ভ্যাকেন্সি রয়েছে। প্রতি বছরই যথেষ্ট সংখ্যায় কনস্টেবল অবসর নিচ্ছেন। একজন কনস্টেবলকে একইসঙ্গে তিনটি শিফটের ডিউটি করতে হচ্ছে। তাই ডিউটি করতে গিয়ে ক্লান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের থানা বা বিভিন্ন ইউনিট থেকে তুলে নেওয়া হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন পুলিসের অনেকেই। এতে থানার কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে পাকাপাকিভাবে চালক নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছে শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশ।