বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
সরাসরি বিল জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলায় কর্মী মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি তাহলে সরকারি অফিসে উপস্থিতি স্বাভাবিক করার দিকে যাবে প্রশাসন? আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা শুরু হওয়ার পর এই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে যে নির্দেশিকা আছে তাতে সরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ সাধারণ কর্মীদের প্রতিদিন এনে কাজ চলছে। অফিস কর্তৃপক্ষ এই অনুযায়ী রোস্টার তৈরি করে রেখেছে। এই হিসেবে সপ্তাহে সাধারণত ২-৩ দিন আসতে হচ্ছে একজন কর্মীকে। কয়েক মাস আগে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, শ্রম সহ কয়েকটি দপ্তরের সচিবালয় অফিস সব কর্মীকে প্রতিদিন আসার বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল। কিন্তু অধিকাংশ রাজ্য সরকারি অফিসে সব কর্মীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
ট্রেজারি-পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে গিয়ে ফিজিক্যাল বিল জমা দেওয়ার কাজ করতে গেলে বেশি সংখ্যক কর্মীকে অফিসে নিয়ে আসতে হবে। প্রতি অফিস থেকে নিয়মিত খরচের বিল জমা করতে হয়। কর্মীদের বেতন, বিভিন্ন ধরনের ভাতা, চিকিৎসা খরচ, কেনাকাটা সহ বিভিন্ন বিষয়ের বিল পেশ করতে হয়। কলকাতা ও সল্টলেকের সচিবালয় এবং ডাইরেক্টরেট অফিসের বিল এখানকার পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে জমা পড়ে। জেলা অফিসগুলির বিল জমা পড়ে সংশ্লিষ্ঠ জেলা ও মহকুমা শহরের অবস্থিত ট্রেজারিতে। অনলাইনে বিল জমা দেওয়ার জন্য বেশি কর্মী অফিসে আসার প্রয়োজন পড়ত না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বিল তৈরি করতেন। বিল সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত একটি বিশেষ ফর্মে অফিসের ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসারকে সই করতে হত। ওই ফর্মটি স্ক্যান করে অনলাইনে বিলের সঙ্গে পাঠিয়ে দিতে হত। অর্থদপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, নভেম্বর থেকে ফিজিক্যাল বিল পেশ করা শুরু হলে ওই ফর্মটি পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না।