অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার আগে, অর্থাৎ শুক্রবার রাতে প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার হয় খেয়াদহ ২ নম্বর অঞ্চলের রানাভুতিয়া এলাকায়। রাতে গোটা এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বোমা পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করলে রাস্তাতেই বোমার ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। ওই রাতেই আইসি সুখময় চক্রবর্তী ও বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি সুপ্রভাত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। উদ্ধার করা হয় বোমাগুলি। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। বসানো হয় পুলিস পিকেট।
এদিকে, শনিবার দুপুরে সেই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডের এএসআই জয়ন্ত বল এবং কনস্টেবল অরবিন্দ সাহা এই কাজে নামেন। আর তখনই বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় তাঁরা দু’জনেই গুরুতর আহত হন। তাঁদের ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় জয়ন্তবাবুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন অরবিন্দবাবু।
এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে মুখ খুলতে চাননি এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে জোর তরজা শুরু হয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলই বোমা মজুত করেছিল। ফল ঘোষণার পর এলাকায় অশান্তি পাকাতেই এ সব জড়ো করেছিল তারা। এদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমুলের সাংগঠনিক প্রধান নজরুল আলি মণ্ডল জানিয়েছেন, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের একাধিকবার মারধরও করা হয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করতেই বোমা মজুত করেছিল বিজেপি।