বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনা পর্বের অনেক আগে থেকে নানা ভ্রান্ত নীতির কারণে গোটা দেশের অর্থনীতি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। করোনা আবহে তিনমাসের লকডাউনে সেই অর্থনীতি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার দায়ভার সমস্ত রাজ্যের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফাইনান্স-এর সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রকের সচিব অজয় ভূষণ। সেই বৈঠকেই তিনি জানিয়ে দেন, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে জিএসটির বকেয়া অর্থ মেটানো সম্ভব নয়। গত ২৭ জুলাই এক ভিডিও বৈঠকে চলতি আর্থিক বছরের গত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত জিএসটির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে রাখেন তিনি। একইসঙ্গে চেয়েছিলেন বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকাও। সংসদের ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক সৌগত রায়। অর্থমন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন না তিনি। তাঁর কথায়, জিএসটির জন্য সংবিধানে ১০১তম সংশোধন আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জিএসটি আদায় ১৪ শতাংশের কম হলে রাজ্যকে ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র। সেই বকেয়া অর্থ দেওয়া হবে না বলে জানানোর পাশাপাশি এখন বলা হচ্ছে, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে। এটা অনিয়ম এবং অনৈতিক। ব্যাপক সঙ্কটের মুখে পড়বে আমাদের রাজ্য।
অর্থদপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, গত আর্থিক (২০১৯-২০) বছরে ডিভল্যুশন অন ট্যাক্সেস (রাজ্য থেকে সংগৃহীত করের অর্থের যে অংশ ফেরত দেয় কেন্দ্র) বাবদ ন্যায্য প্রাপ্য ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা দিতে অস্বীকার করেছিল কেন্দ্র। চলতি আর্থিক বছরে গত এপ্রিল এবং মে’মাসের জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য ৪ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। এর সঙ্গে জুন মাসের প্রাপ্য যুক্ত হলে টাকার অঙ্ক প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি। সেই অর্থের জন্যই দরবার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন সেটাও দেওয়া যাবে না বলে জানাল কেন্দ্র।