বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হার যথেষ্ট কম। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা মোট ১,৫৩৬। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি থাকা আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রয়েছেন প্রায় ১,২০০ থেকে ১,৪০০ রোগী। নবান্নের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনায় অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে সকালে। সূত্রের খবর, ঠিকমতো নজরদারির অভাবেই বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনকী সঙ্কটজনক রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে প্রোটোকল মানার ক্ষেত্রে খামতি চোখে পড়েছে স্বাস্থ্যভবনের প্রোটোকল ম্যানেজমেন্ট টিমের বিশেষজ্ঞদের। তাই এই ধরনের রোগীদের জন্য আলাদা করে কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করছে নবান্ন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যবস্থায় প্রতিটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সঙ্কটজনক রোগীর কাছে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিবরণ ট্যাবের মাধমে পোর্টালে তুলে ধরবেন চিকিৎসক বা নার্স। স্বাস্থ্যভবনের কন্ট্রোল রুমে থাকা বিশেষজ্ঞরা তা খতিয়ে দেখে চিকিৎসার গাইডলাইন ঠিক করে দেবেন। তিনটি শিফটে ২৫ জন করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকবেন কন্ট্রোল রুমে। গোটা ব্যবস্থাটির উপরে নবান্ন থেকে সরাসরি নজরদারি চালানো হবে। রজ্যের হাসপাতালগুলিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করোনা রোগীদের শারীরিক অবস্থার উপর নজরদারি চালাতে একাধিক কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। নতুন ব্যবস্থায় সেই মনিটরিং আরও বাড়ানো হল। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে কোভিড চিকিৎসার হচ্ছে কি না, তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক মোবাইল প্রোটোকল মনিটরিং টিমও গড়ছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তারা নিয়মিত বিভিন্ন কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করে দেখবেন। উল্লেখ্য, এদিন পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৭,১৩০টি শয্যা খালি রয়েছে।