নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সোমেন মিত্র প্রয়াত হলেও তাঁর দেখানো পথে বামেদের সঙ্গে সখ্য গড়েই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চায় প্রদেশ কংগ্রেস।
বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও রাজ্যে ব্যতিক্রম দু’টি জেলা। ঝাড়গ্রাম এবং কালিম্পং। আক্রান্তের সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে ১০০’রও গণ্ডি পেরয়নি এই দুই জেলায়। ৩০ জুলাইয়ের সর্বশেষ রিপোর্ট পর্যন্ত ঝাড়গ্রামে মোট আক্রান্ত মাত্র ২৮। কালিম্পং-এ ৮৫। ঝাড়গ্রামে সক্রিয় আক্রান্ত শূন্য। কালিম্পং-এ মাত্র ১৩। রহস্যটা কী?
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর্থিক অবস্থা বেহাল, এই অজুহাতকে সামনে রেখে এবার বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যের কোষাগারকে ‘পঙ্গু’ করার চেষ্টা শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ এখন দেওয়া সম্ভব নয় বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। আর তাতেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে চলেছে রাজ্যগুলি।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক ক্লিকে কলকাতা। পরের ক্লিকে হাওড়া। মাঝখানে গঙ্গা-গোধূলির আদিখেত্যা। মোবাইলে হোক কিংবা ডিজিটাল ক্যামেরা। সেলফি হোক অথবা ফটোশ্যুট। অনুভূতির অতল ছোঁয়ার এমন জায়গা খুব কমই রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুধু অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস বা ভর্তি নয়, করোনার জেরে নিজেদেরও পাল্টাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি। দেশে অন্যতম প্রাচীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পিএইচডি গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার মঞ্জুরি দিয়েছে। মৌখিকও হবে অনলাইনে। একই পথে হাঁটতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও।
বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: বেআইনি মজুত, কালোবাজারি ও দামের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার অপরিহার্য পণ্যের তালিকায় নিয়ে এসেছিল মাস্ক ও স্যানিটাইজারকে। সেটা ছিল ১৩ মার্চ। বলা ছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নির্দেশিকা। এবার সেই সময়সীমা পেরতেই অপরিহার্য পণ্যের তালিকা থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজারকে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নয়-নয় করে প্রায় ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবন। প্রদেশ কংগ্রেসের সদ্য প্রয়াত সভাপতি সোমেনবাবুর সাংগঠনিক দক্ষতার কথা কেবল নিজের দল নয়, বিরোধী শিবিরের বহু নেতাও একবাক্যে স্বীকার করেছেন বিভিন্ন সময়ে। মৃত্যুর পরও সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে। সেই সঙ্গে এবার কংগ্রেসের মরা গাঙে বাংলায় হাল ধরতে কে প্রদেশ সভাপতি হবেন, তা নিয়েও সব মহলেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। রাজনীতির মধ্য গগনে থাকাকালীন সোমেনবাবুর জনপ্রিয়তা নিয়ে শত্রু শিবিরের অনেকেও সন্দেহ প্রকাশ করেনি কখনও। ছয়ের দশকের মাঝামাঝি সাধারণ কর্মী হিসেবে রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। পরে কংগ্রেস রাজনীতির ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ বলে পরিচিত প্রিয়-সুব্রত-সোমেনের অন্যতম অংশীদার হন। ১৯৭২ সালে প্রথম শিয়ালদহ কেন্দ্রে বিধায়ক হন। ১৯৭৭ সালে প্রবল কংগ্রেস বিরোধী হাওয়ায় অবশ্য হেরে যান জনতা পার্টির প্রাথী বিনয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এক বছরের মধ্যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস যখন দ্বিধাবিভক্ত হয়, তিনি কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীকে ছেড়ে যাননি। কার্যত আমৃত্যু তিনি গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন থেকে গিয়েছেন। ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা বিধায়ক। ২০০৮ সালে মতানৈক্যের দরুণ প্রথমবার কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস তৈরি করেন। কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দিয়ে নিজের দল গুটিয়ে ফেলেন। জোড়াফুল চিহ্নেই ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে এমপি নির্বাচিত হন সোমেন। কিন্তু ব্যক্তিত্বের সংঘাতের জেরে ২০১৪ সালে তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন। সব মিলিয়ে তিনবার প্রদেশ সভাপতি হয়েছেন। কয়েক দশক ধরে ছিলেন এআইসিসি সদস্য। বর্ণময় রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রের অধিকারী সোমেনবাবুর পর প্রদেশ কংগ্রেসের হাল বর্তমান কঠিন সময়ে কে ধরেন, তার দিকেই তাকিয়ে সবাই। দলের নেতাদের একাংশ বলছেন, অভিজ্ঞতার উপর যদি হাইকমান্ড জোর দেয় তাহলে আব্দুল মান্নান বা প্রদীপ ভট্টাচার্যদের নাম উঠে আসবে সর্বাগ্রে। তবে দু’জনের বয়স ও শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে অপেক্ষাকৃত কম বয়সের কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে সেখানে মনোজ চক্রবর্তী, নেপাল মাহাত, ফিরোজা বেগম প্রমুখের মতো নেতাদের নাম হাইকমান্ডের কানে ইতিমধ্যেই কেউ কেউ দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এক নম্বর চেয়ারটিতে কে বসবেন, সে ব্যাপারে বিশেষভাবে খোঁজ নিতে আগ্রহী সিপিএম এবং বাকি বাম দলগুলি। কারণ, তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী জোটের বন্ধনকে সোমেনবাবু যেভাবে বাঁধার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাতে তাঁর মতো একজন ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন কাউকেই এই পদে দেখতে চাইছে আলিমুদ্দিন।
