বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
তিন বছরের বাধ্যতামূলক প্রি-স্কুল চালু হলে, মোট পড়ুয়ার সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে। সেই অনুযায়ী তৈরি করতে হবে ক্লাসরুম। বাড়তি ভবনেরও প্রয়োজন হতে পারে। সেগুলিতে প্লে স্কুলের পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা অত খুদেদের পড়াতে পারবেন না। তার জন্য হয় তাঁদের মন্তেসরি ধাঁচের প্রশিক্ষণ নিতে হবে, নয়ত সেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। কয়েক বছর ধরে স্কুলশিক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের যা বাজেট, তাতে কিন্তু এর ভগ্নাংশও মিটবে না। একই সঙ্গে তাঁর আশঙ্কা, নতুন শিক্ষানীতিতে হিন্দিকে সুকৌশলে চাপিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, সিলেবাস এক্সপার্ট কমিটির তরফে যা যা প্রস্তাব ছিল, সেগুলি প্রায় কিছুই মানা হয়নি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক বাধা আসত বলেই সংসদ খোলার অপেক্ষা না করে ক্যাবিনেটে তড়িঘড়ি পাশ করিয়ে নেওয়া হল। স্কুলশিক্ষায় সংস্কৃতকে ব্যাপকভাবে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, যা অপ্রয়োজনীয় বলেই আমাদের মনে হয়।
তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, ইংরেজিকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে, এখনও তা স্পষ্ট বুঝতে পারছি না। যদি ভাষা হিসেবে ইংরেজি গুরুত্ব না পায়, তাহলে আমরাই আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকব। মাধ্যমিক শিক্ষাকে আটটি সেমেস্টারে ভাগ করা হয়েছে।
সেমেস্টারে যদি ভাগ করা হবে, তাহলে দুটি সেমেস্টারের পরে একটি সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হল না কেন? কেউ যদি সাতটি সেমেস্টার দিয়ে শেষেরটি কোনও কারণে দিতে না পারে, তাহলে সেই পড়ুয়ার পুরো খাটনি বেকার হয়ে যাবে। তবে আমি ত্রি-ভাষা নীতিকে স্বাগত জানাই। সংস্কৃত ভাষায় জোর দেওয়া হয়েছে বলে আমি খুশি। পাশাপাশি, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ স্লোগানের মাধ্যমে যে উগ্র জাতীয়তাবাদ উস্কে দেওয়ার প্রয়াস রয়েছে, সেটিও ভয়াবহ।
ছাত্র সংগঠন এসএফআই আবার এই শিক্ষানীতিকে শিশুশ্রমিক তৈরির ব্লু প্রিন্ট বলছে। তাদের মতে, ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তা শিক্ষার অধিকার আইন বা শিশুশ্রম নিবারণী আইনের পরিপন্থী। এই নীতিতে শিশু তার অভিভাবকদের ব্যবসা বা অন্যান্য কাজে সাহায্য করতে পারবে বলা হয়েছে। সেটা করা যায় না।