কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ‘গত পাঁচ নভেম্বরের পর থেকে ক্যাজুয়াল লিভ ছাড়া অন্য ছুটির আবেদন করিনি অথবা ক্যাজুয়াল লিভ ছাড়া অন্য সব ছুটির আবেদন এইচআরএমএস-এর মাধ্যমেই করেছি’—এহেন মুচলেকা বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে সমস্ত কর্মীকে। অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-গভর্ন্যান্স প্রক্রিয়াকে সামনের বছর থেকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্য নিয়েই ই-সার্ভিস বুকের প্রবর্তন করা হচ্ছে। তাই নতুন বছর শুরুর আগেই পুরনো ম্যানুয়াল সার্ভিস বুকের পাট চুকিয়ে ই-সার্ভিস বুক চালু করার আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরনো সার্ভিস বুকের নকল বা প্রত্যায়িত কপি কর্মীদের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে। সার্ভিস বুক অনুমোদনের প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সব ম্যানুয়াল সার্ভিস বুক জমা পড়ার পরই কর্তৃপক্ষ ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু করবে। তবে হার্ড কপি বা কাগজের ভূমিকা একেবারে বন্ধ হচ্ছে, এমনটা নয়। আদালতের নির্দেশে বা অন্য কোনও কারণে প্রয়োজন হলে প্রিন্ট আউট বের করে নির্দিষ্ট আধিকারিকের স্বাক্ষর সহ তা জমা দিতে হবে।
অর্থদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-সার্ভিস বুক চালু হলে কর্মচারীদের সার্ভিস বুক হারানোর চিন্তা থাকবে না। অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে সার্ভিস বুক হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক কর্মীকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অবসর পরবর্তী সুযোগ-সুবিধা পেতে সমস্যার সম্মুধীন হতে হয়েছে অনেককে। জটিলতা তৈরি হয়েছে পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রেও। ই-সার্ভিস বুকে এই ঝক্কি এড়ানো যাবে বলে অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ই-সার্ভিস বুক সংক্রান্ত অনলাইন পরিষেবার নাম ‘সিস্টেম অব ম্যানেজমেন্ট অব সার্ভিস বুক’। এই ই-সার্ভিস বুকের নতুন ফরম্যাটও চালু হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে এরপর থেকে সার্ভিস বুক আপডেট করার প্রয়োজন পড়বে না। অর্থ দপ্তরের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, যে সমস্ত কর্মীর কোনও আবেদন আটকে রয়েছে বা জমা করা যায়নি, কিংবা হারিয়ে গিয়েছে, ই-সার্ভিস বুক চালু হলেও এমন সব ক্ষেত্রে তাঁরা আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন জমা করতে পারবেন।