শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
রাস্তায় পুলিসের ‘তোলাবাজি’ নিয়ে যেভাবে প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে বিভিন্ন জেলা তো বটেই, শহর-শহরতলিতেও পুলিসের ‘জুলুম’ মোটের উপর কমেছে বলে জানাচ্ছেন বাস মালিকরা। অন্যদিকে, চলতি মাসের প্রথম থেকে বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন মোটর ভেহিকেলস আইন কার্যকর হলেও, এ রাজ্যে তা করা হয়নি। নতুন বিধানে ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য জরিমানার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সাধারণ গাড়ির মালিকদের উপর বাড়তি বোঝা না চাপাতেই নয়া হারে জরিমানা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। নতুন করে আর্থিক চাপ না বাড়ায় খুশি বাস সহ বেসরকারি পরিবহণের মালিকরা। যদিও ডিজেলের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না তাঁদের।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ দিনে লিটার প্রতি প্রায় দু’টাকা করে ডিজেলের দাম বেড়ে গিয়েছে। এমনিতেই পুজোর মুখে সবারই খরচ বেড়ে যায়। চাঁদা সহ নানা কারণে বাস মালিকদের খরচ বাড়ে আরও। সেই জায়গায় ডিজেলের দাম নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন বহু বাস মালিক। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে ভাড়াবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। বিষয়টি নিয়ে আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হবে। দরকারে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হবে। মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, গত কয়েক দিনে লিটার প্রতি ডিজেলের মূল্য ১ টাকা ৬৭ পয়সা বেড়ে গিয়েছে। বাড়তি ব্যয় কোথা থেকে সামাল দেওয়া হবে? পুজোর মুখে খরচের বহর বাড়ায় সমস্যা হচ্ছে মালিকদের। ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পল্লব মজুমদার বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ভাড়াবৃদ্ধি খুবই দরকার। বিমার হার তো আগেই বেড়েছিল। তার উপর সমানে বাড়ছে ডিজেলের দাম। যাত্রীসংখ্যা তো আর এক লাফে বাড়ছে না। বাড়তি টাকা আসবে কোথা থেকে? বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।