শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
রবিবার হিউস্টনে এক মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে পাকিস্তানকে আক্রমণের পাশাপাশি ট্রাম্পের হয়ে কার্যত নির্বাচনী প্রচার করে দিয়েছেন মোদি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেছেন, ‘আব কি বার ট্রাম্প সরকার’। পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টও ভারতের উন্নয়নে সবরকম সাহায্যের অঙ্গীকার করেছেন। গোটা বিশ্বের সামনে ভারত-মার্কিন বন্ধুত্বের এই ছবি উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অভূতপূর্ব কৌশলেই মুগ্ধ হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। এদিন ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কৌশলী এবং স্মার্ট পদক্ষেপ। আসন্ন নির্বাচনের আগে ভোটের নিরিখে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই পরিস্থিতিতে যে কৌশলে মোদি তাঁকে সামনে রেখে উদ্দেশ্যসাধন করলেন তা এককথায় দুর্দান্ত। ব্যবহার করলেন আমাদের অন্যতম বড় অস্ত্র, জনসংখ্যা। এবং গণতন্ত্রে সংখ্যাটাই আসল।’
প্রশান্ত’র ইঙ্গিত স্পষ্ট। ২০২০ সালে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয়বার জয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়াদিল্লির আসল হাতিয়ার বিপুল সংখ্যক অনাবাসী ভারতীয়রা। এনআরজি স্টেডিয়ামে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে ভিড় জমিয়েছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। তাদের ভোট ট্রাম্পের ঝুলিতে নিয়ে আসার জন্যই আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার বিনিময়ে আদায় করে নিয়েছেন ওয়াশিংটনের সাহায্যের আশ্বাস। পরিস্থিতিকে ব্যবহার করেই একাজে সক্ষম হয়েছেন মোদি। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী একাজে সক্ষম হননি বলেই মত প্রশান্ত কিশোরের। বিষয়টির প্রেক্ষাপট আন্তর্জাতিক হলেও এতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল নেতারা। একথা তো সকলেরই জানা যে, তৃণমূলের বর্তমান কার্যকলাপের পিছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোর ও ‘আইপ্যাক’-এর কর্মীরা। প্রশান্ত আগেই বলেছিলেন, তিনি চাইলে মোদির কাছে ফিরে যেতে পারেন। এই ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে তিনি সেই ইচ্ছা প্রকাশ করলেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছেন দলের অন্দরে। অনেকে অবশ্য বলছেন এতে প্রশান্তের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা প্রকট হয়েছে। কারণ, নয়াদিল্লি কখনই আমেরিকার নির্বাচনে নাক গলায়নি। ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দু’পক্ষকে সমান চোখে দেখা হয়েছে এতদিন।
বিরোধী দল কংগ্রেসেরও অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির এই কৌশলে দেশের বিদেশ নীতি ভঙ্গ হয়েছে। বিদেশ নীতি অনুযায়ী, অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না ভারত। কিন্তু ‘আব কি বার ট্রাম্প সরকার’ তো ট্রাম্পের হয়ে কার্যত নির্বাচনী প্রচার। কীভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে একাজ করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি? প্রশ্ন তুলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।