নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
কীভাবে সামনে এল এই কারবার? সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা তমোঘ্ন দাস থানায় অভিযোগ করেন, জনৈকা প্রতিমা সাহা তাঁর উদ্দেশে জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন। ওই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের প্রয়োজনে প্রতিমা নিজের একটি জাতিগত শংসাপত্র পেশ করেন। দেখা যায়, সেই শংসাপত্রটি হাওড়া (সদর)-এর এসডিও অফিস থেকে করানো হয়েছে। অশোকনগরের বাসিন্দা কীভাবে হাওড়া থেকে এসসি সার্টিফিকেট পেলেন, তা নিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তমোঘ্নবাবু। সেই সঙ্গে তিনি একটি আরটিআই করে গত তিন মাসে কাদের কাদের এসসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান। সেই আরটিআইয়ের উত্তরে দেওয়া সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, জাতি শংসাপত্র বের করতে যে ভোটার কার্ড প্রতিমাদেবী পেশ করেছেন, তাতে ঠিকানা রয়েছে হাওড়ার বনবিহারী বোস লেন। তিনি একাই নন, ওই একই ঠিকানা ব্যবহার করে আরও তিনজন জাতি শংসাপত্র পেয়েছেন। এরপরই এসডিওর তরফে হাওড়া থানায় এফআইআর করা হয়। কিন্তু দেড় বছর কেটে গেলেও তদন্তের অগ্রগতি বা কাউকে ধরপাকড় করা হয়নি। অগত্যা চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় এসসি কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান তমোঘ্নবাবু। কমিশনের কড়া নির্দেশে হাওড়া সিটি পুলিসের এসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে ‘সিট’ গঠন করা হয়। চলতি মাসে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে দুই মহিলা সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে প্রতিমা সাহা, সায়নী সাহা নামে দুই মহিলা ছাড়াও আছেন চক্রের সঙ্গে জড়িত দু’জন।
প্রশাসনের কর্মীদের একাংশই এই কারবারে যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তাঁরা জেনেছেন, দালালদের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে জাতি শংসাপত্র বানিয়ে দেওয়া হতো। প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছিল হাওড়ার ওই ঠিকানা দেওয়া ভুয়ো ভোটার কার্ড। ‘সিট’-এর এক সদস্য বলেন, ‘তদন্ত দ্রুত এগচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সাতটি জাল শংসাপত্রের হদিশ মিলেছে। আরও অনেকে গ্রেপ্তার হবে।’