সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এদিন ট্রাম বন্ধ করা নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর ভারতীয় কনসাল জেনারেলের তরফে রাজ্যের কাছে একটি চিঠি আসে। সেখানে ফুটবল বিশ্বকাপে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে কলকাতার দু’টি ট্রাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। কনসাল জেনারেলের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই দু’টি ট্রামকে সেখানকার উপযোগী করে পাঠাতে চাইছে রাজ্য। পরবর্তীতে কানাডা সরকারকে ট্রাম দু’টি উপহার হিসেবে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দুই সরকার।
এদিন আদালতে রাজ্যের বক্তব্য, ট্রাম নিয়ে মামলার জেরে হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছে, কোনও ট্রামের বাহ্যিক বদল বা স্থানান্তর করা যাবে না। এই নির্দেশের কারণেই বিষয়টি থমকে রয়েছে। তাই হাইকোর্টের আগের নির্দেশ বদলের আর্জি জানাচ্ছে রাজ্য। রাজ্যের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে নতুন করে আবেদন জানাতে হবে। ওই আবেদন দেখে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রামকে বাঁচাতে ফের বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর আগে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ছিল, শহরের রাস্তা থেকে কোনও ট্রাম লাইন তোলা যাবে না। কিন্তু এই নির্দেশের পরেও দেখা যায়, শহরের বহু রাস্তা থেকে ট্রাম লাইন তুলে ফেলা হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সেই রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, শহরের রাস্তা থেকে কীভাবে ট্রাম লাইন উধাও হল, তা কলকাতা পুলিস, কলকাতা পুরসভা এবং পরিবহণ দপ্তর কেউ জানে না। এই রিপোর্ট দেখার পরই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি নির্দেশে জানান, বেআইনিভাবে যে ট্রাম লাইন তোলা হয়েছে, তা পুনরায় আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ছবি সহ সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নির্দেশের পরও প্রকাশ্য দিবালোকে শহরের রাস্তা থেকে ট্রাম লাইন তুলে ফেলা হল, এটা কোনও দুষ্কৃতী দলের কাজ হতে পারে না। উপরতলার হাত না থাকলে এভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলা সম্ভব নয়।’ এরপর কীভাবে ওই ট্রাম লাইনগুলি তুলে ফেলা হল, তা নিয়ে কলকাতা পুলিসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘কলকাতার ট্রাম দেশের ঐতিহ্য। তা তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ। ট্রাম বাঁচাতেই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যাতে সরকার উদ্যোগী হয়। বহু দেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে চলে। ট্রামকে বাঁচাতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।’