সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
ওড়িশার বেরহামপুরের সিটি হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র অভিষেক সুবুধি। সে এই প্রোটেক্টর তৈরি করেছে। তার বক্তব্য, ‘আমি একটি সার্কিট তৈরি করেছি। যে সার্কিট বাইক বা গাড়িতে লাগানো থাকবে। তেল ভরার সময় পাম্পে থাকা মেশিন থেকে দেওয়া তেলের পরিমাপ ফুটে ওঠে। আমার তৈরি যন্ত্র বাইক বা গাড়িতে ভরতে থাকা তেলের পরিমাপ আলাদা করে জানিয়ে দেবে। যন্ত্রটির সামনে রয়েছে ছোট এলইডি স্ক্রিন। গাড়ির ট্যাঙ্কে কত পরিমাণ তেল ভরল, তার পরিমাপ ফুটে উঠবে ওর পর্দায়।’
সাধারণ মানুষের বক্তব্য, রোজই বেড়ে চলেছে তেলের দাম। গাড়ি বা বাইক চালানো যেন হাতি পোষা। এর মাঝে আবার সক্রিয় জালিয়াতরা। অনলাইন লেনদেন কিংবা ই-ব্যাঙ্কিং, চারদিকেই তাদের আক্রমণ। এছাড়া পেট্রল পাম্পেও হচ্ছে জালিয়াতি। কেউ এক লিটার তেল কিনলে পাম্পে থাকা পর্দায় এক লিটারই দেখাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে গাড়ির ট্যাঙ্কে হয়ত ৯৫০ মিলিলিটার তেল জমা হচ্ছে। পাম্পের যন্ত্রতে কলকাঠি নেড়ে ভুল পরিমাপ দেখানো চলছে। অভিষেক বইয়ে পড়া বিজ্ঞানকে হাতেকলমে ব্যবহার করে আবিষ্কার করেছে নয়া প্রযুক্তি। তার যন্ত্র রুখবে পেট্রোল চুরি।
অভিষেক বলে, ‘আমাদের ওখানে প্রায়শই শুনি, তেল তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে। গাড়ি হিসেব মতো মাইলেজ দিচ্ছে না। আমি তারপর যন্ত্রটি বানানোর প্ল্যান করি। বানিয়েও ফেলি ‘ফুয়েল স্ক্যাম প্রোটেক্টর। এই যন্ত্র সকলের ব্যবহার করা উচিত। তাহলে পরিশ্রম করা টাকা জলে যাবে না।’ ‘যন্ত্র কিনতে খরচ কেমন পড়বে? জালিয়াতদের হাত থেকে টাকা বাঁচাতে গিয়ে যন্ত্রের পিছনে বেশি ব্যয় হবে না তো?’ এ প্রশ্নের উত্তরে অভিষেকের বক্তব্য ‘আমার এই যন্ত্রের দাম খুবই কম। যে টাকা নিয়মিত খোয়াতে হচ্ছে, তার তুলনায় আমার তৈরি মেশিনের দাম কিছুই নয়।’