সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এই ঘটনার পর প্রবলআতঙ্কে বাসিন্দারা।গোটা এলাকা সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে। এর আগে গার্ডেনরিচে বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। সে ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই সামনে এল বাঘাযতীনের ঘটনা। এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমিরপিছনের অংশে একটি ডোবা ছিল।তা বুজিয়ে আবাসন তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদেরঅনুমান, তৈরি হওয়ার কয়েক বছর পরই ধীরে ধারে মাটিতে বসতেশুরু করে বাড়িটি। মঙ্গলবারঘটনার পরওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আশপাশের কয়েকটি বাড়ি খালি করার কাজও হয়েছে। কলকাতা পুলিস ও কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। রাতের মধ্যে ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুরসভা বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে প্রোমোটার, বাড়ির ৮ বাসিন্দা ও লিফ্টিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিসে এফআইআর দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে।
৩/৪৭ ডি, শুভ অ্যাপার্টমেন্ট। বিদ্যাসাগর কলোনির এই চারতলা আবাসনটির ঠিকানা।এখানে আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। একাধিক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, ‘২০১০-’১১ সালে আবাসন তৈরি হয়েছিল। একটি ডোবা বুজিয়ে এটির নির্মাণ হয়। তৈরির সময় সঠিকভাবে পাইলিংয়ের কাজ হয়নি।’ অভিজিৎ বক্সি নামে ক্ষতিগ্রস্ত আবাসনের একবাসিন্দা বলেন, ‘ফ্ল্যাট কেনার কয়েক বছর পরই দেখতে পাই বাড়ি মাটিতে বসে যাচ্ছে। একদিক অল্প বেঁকেওগিয়েছিল। পুরসভাকে তখনই জানাই। কিন্তু তখন প্রোমোটার বা পুরসভা কেউ সেভাবে গা করেনি।’
জানা গিয়েছে, সরকারপরিবার এই জমির মালিক। এই পরিবারের অভিষেক ও মণিদীপা নামে দুই সদস্যের ফ্ল্যাটও রয়েছে এখানে। প্রোমোটারের নাম সুভাষ রায়। তাঁরও দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি বেপাত্তা। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, বছর দু’য়েক আগে অভিযোগ পাওয়ার পর আবাসনটির হাল খতিয়ে দেখা হয়েছিল। তখনও পর্যন্ত মাটিতে বসে পড়া কিংবা হেলে যাওয়ার কোনও লক্ষণ ছিল না। তারপর সম্ভবত এরকম ঘটে থাকতে পারে। বাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ,দুর্গাপুজোর আগে বাড়িটির অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে।’
এদিনঘটনাস্থলে আসেন যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার, ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুলিসেরডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ও পুরসভার ডেমোলিশন স্কোয়াড। বিধায়ক বলেন, ‘বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। যে সংস্থাকে দিয়ে হেলে পড়া বাড়ি লিফটিংয়ের কাজ হচ্ছিল তারা বলেছিল, কাজের শেষে২০ বছর পর্যন্ত বাড়িটির ক্ষতি হবে না। বাসিন্দাদের সঙ্গে সেই অনুযায়ী চুক্তিও হয়েছিল। তারপর এই ঘটনা।’আবাসনটি হেলে পাশের বাড়ির উপর পড়েছে। সেই বাড়িরও বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। ওই বাড়ির বাসিন্দা সমীর দত্ত বলেন, ‘খবর পেয়ে কাজকর্ম ছেড়ে ছুটে এসেছি। বাড়িতে কেউ ছিল না। বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।’