সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষা শেষ হতেই বারাসত ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াঘাটা থেকে তেহাটা হয়ে বোয়ালঘাটা পর্যন্ত বিদ্যাধরী নদীর বুক থেকে মাটি কাটার কাজ রমরমিয়ে শুরু হয়েছে। বারাসত ১ নম্বর ব্লকের পানশিলা, মুক্তারপুর, দেগঙ্গার হাসিয়া গ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যাধরী নদী থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় পাড় ভেঙে আশপাশের জমি নদী গর্ভে ঢুকে পড়ছে। বারাসত ২ নম্বর ব্লকের ফলতি, মাগরি, তেহাটা সহ একাধিক গ্রামে চলছে মাটি কাটার কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন ২০০টিরও বেশি নৌকায় করে মাটি পাচার করা হচ্ছে। ওই মাটির বেশির ভাগই বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। ফলে নদীর দু’পাড়ে যেমন ধস নামছে, তেমনই বর্ষায় ওই এলাকার বহু মাছের ভেড়ি জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে।
মূলত, এই কাজ করা হয় শীতের ভোরে। সেই সময় এলাকা কার্যত নিশ্চুপ থাকে। এই সুযোগকেই কাজে লাগায় কারবারিরা। নদীর ধারে অস্থায়ীভাবে তৈরি হয়েছে একাধিক ঘাট। সেখানে থাকে নৌকা। কোদাল নিয়ে সেই নৌকায় উঠে পড়েন মাঝিরা। পরে নদীর মাঝে বা ধার থেকে তোলা হয় মাটি। রাখা হয় নৌকায়। পরে সেই মাটি চলে যায় স্থানীয় ইটভাটায়। দিনে দু’-তিন ঘণ্টার কাজ। তারপর ওই মাঝিরা ফের পোশাক বদলে ফিরে যান অন্য কাজে। এক নৌকা মাটির দাম কত? গল্পের ছলে পাচারকারীরা বললেন, শুরু ৭০০ টাকা থেকে। আবার কিছুটা দূরের ভাটায় গেলে দাম হয় ৮০০-৯০০ টাকা। সবটাই নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর। এখন চাহিদা বেশি। কারণ, এখন জমি থেকে মাটি কাটার কাজ শুরু হয়নি। এদিকে ভাটায় মাটির চাহিদা ব্যাপক। নদী থেকে মাটি তোলা অপরাধ, আপনাদের কাছে কোনও কাগজ আছে? ব্যবসায়ীর জবাব, কোনও ভয় নেই, সব ম্যানেজ করা আছে! এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এই ধরনের অভিযোগ এখনও আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।