সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
দামোদর নদীর তীরে হরেক রকমের আলুর দম নিয়ে বসেছে দোকান। কোনও দমে ঝাল বেশি। কোনওটিতে ঝাল কম। ক্রেতারা চেখে ভালো লাগলে তবেই কিনছেন। নজরকাড়া রং আর সুস্বাদু। মেলার আরও এক বৈশিষ্ট্য, এখানে কেজি দরে বিক্রি হয় আলুর দম। কোথাও ৪০ কোথাও ৫০ টাকা। দাম আর স্বাদের নমুনা নিয়ে চলছে দোকানদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির দিন এই মেলা বসে।
কথিত আছে, নবাব আলীবর্দি খানের সময় থেকে মেলা হচ্ছে। সে সময় এটি পীর ঠাকুরের মেলা বলে পরিচিত ছিল। নিয়ম করে পীরের গানের আসর বসতো। বংশপরম্পরায় গায়করা অংশ নিতেন। এবং মেলার সামনে মন্দিরে গঙ্গাদেবীর পুজো হয়। মেলা পরিচালনার দায়িত্বে জাঁন্দা পল্লিমঙ্গল সমিতি। সব ধর্মের মানুষ একত্র হয়ে আয়োজন করেন। আলুর দমের মেলায় ভিড় যত বড় হয়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রকমারি দোকানের সংখ্যা। কাঠের আসবাব, বেতের ধামা, কুলো, মাদুর, ফল, জিলিপি, তেলেভাজা, খেলনা, নাগরদোলা নিয়ে মেলা এখন জমজমাট। কিন্তু একাংশে থাবা বসিয়েছে গুটি, কৌটো, তাস সহ নানান হাত সাফাই করা জুয়া। মেলা দেখতে আসা মানুষ লোভে পড়ে টাকা খোয়াচ্ছেন। এক ব্যক্তি বলেন, এই জুয়ার আসর ভবিষ্যতে মেলার ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ করবে। মেলা পরিচালন কমিটির কাছে অনুরোধ, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে এই ধরনের স্টল দেওয়া বন্ধ করা হোক। রাজবলহাট এক নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব শীল জানান, ঐতিহ্যবাহী এই মেলার অনুমোদন পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া হয়। জুয়ার স্টলগুলির বিরুদ্ধে আমরা পরিচালন কমিটিকে জানিয়েছি। পঞ্চায়েত থেকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য আমাদেরও দায়বদ্ধতা থেকে যায়। আগামী দিন এই ধরনের স্টল যেন না দেওয়া হয় সে বিষয়ে কমিটিকে জানানো হবে।