উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
খবর মিলেছে, বিনা অনুমতিতে ৩৫টির মতো গাছ কাটা হয়েছে। এ কাজের আগে বনদপ্তরের অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। স্কুল পরিচালন কমিটির দাবি, ওই জায়গায় কমিউনিটি কিচেন তৈরি করা হবে। আর অভিযোগকারী সৌরভ গয়ালী বলেছেন, ‘বনদপ্তরের বিনা অনুমতিতে একাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’ তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন স্কুল পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সদস্যরাও। যদিও স্কুলের বর্তমান পরিচালন কমিটির দাবি, কোনও বেআইনি কাজ করা হয়নি। বৃহৎ স্বার্থে গাছ কাটা হয়েছে। কমিটির সভাপতি বিধানচন্দ্র রায় বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। ওখানে কমিউনিটি সেন্টার হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জায়গা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল। সে কারণে দু’টি ছোট ছোট গাছ কাটা হয়েছে।’ তবে সভাপতির দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করে বিরোধীদের বক্তব্য, ওই জায়গায় একাধিক বড় বড় গাছ কাটা হয়েছে। সভাপতি দু’টি ছোট গাছ বলে মিথ্যা দাবি করছেন। আর বাগদার বিডিও প্রসূন প্রামাণিক বলেছেন, ‘ওখানে কমিউনিটি সেন্টার হবে এটা ঠিক। তবে গাছ বেআইনিভাবে কাটা ঠিক না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’ এর পাশাপাশি বনগাঁ মহকুমা বন আধিকারিক সঙ্গীতা ভৌমিক বলেন, ‘আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের কাছ থেকে গাছ কাটাব অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিনা অনুমতিতে কি করে এতগুলি গাছ কাটা হল তদন্ত করে দেখা হবে।’
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরিবেশরক্ষা, গাছ কাটার কুফল নিয়ে শিশুদের পড়াশোনা করান। সেই স্কুলই জড়িয়ে পড়ল গাছ কাটার মতো মারাত্মক অপরাধে! এ ঘটনা চূড়ান্তভাবে অনভিপ্রেত। - নিজস্ব চিত্র