উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
অভিনব এই উদ্যোগে টইটুম্বর ছিল কেনাকাটা ও পেটপুজোর আয়োজন। এমনকী চারচাকা কেনার যাঁরা প্ল্যান করছেন, তাঁদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক গাড়ির ক্রেতাদেরও হতাশ করেনি মেলা। বিরিয়ানি থেকে বাহারি শরবত, নলেন গুড়ের সন্দেশ থেকে চাইনিজ— নামজাদা সংস্থাগুলির অঢেল খাবারদাবারে মজেছিলেন মেলায় আসা প্রায় সব দর্শক। আর ছিল বিনোদন। শুরু হয়েছিল ‘চন্দ্রবিন্দু’র বন্ধুত্ব দিয়ে। ভিন দেশি তারাদের আপন করে নিয়ে তাঁরা শুনিয়েছিলেন তাঁদের নতুন অ্যালবাম ‘টালোবাসা’র গান। তারপর একে একে এসেছেন সায়নী পালিতরা। মেলার মাঠ ও মন দখল করেছেন রূপম ইসলামও।
মন বিনোদনে থাকলেও কৌতূহল ছিল কিন্তু ব্যবসাতেই। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নয়া প্রজন্মের উদ্যোগপতিদের নজর এখন স্টার্ট-আপেই। কিন্তু নতুন চিন্তাভাবনা ও আঙ্গিকের এই ব্যবসার দু’টি মূল চ্যালেঞ্জ। এক, নতুন উদ্যোগ আদৌ ক্রেতাদের পছন্দ হবে তো? দুই, ব্যবসার পুঁজি আসবে কোথা থেকে? এই দু’য়েরই জবাব দিয়েছে অভিনব মেলা। কীভাবে পুঁজি মেলে, কোন পথে এগলে বাজারমুখী হবে স্টার্ট আপ, তার তথ্য পেয়েছেন বহু বাঙালি। সফল ব্যবসায়ীরা যেমন তাঁদের ‘জার্নি’র ওঠাপড়া শেয়ার করেছেন, তেমনই একেবারে পেশাদার পরামর্শদাতা সংস্থা চিনিয়েছে এই দুনিয়ার হালহকিকত। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে তার যোগ্য সঙ্গত করেছে ‘বর্তমান’ও। যাঁরা পুরনো ধারা মেনে ক্ষুদ্র, ছোট বা মাঝারি শিল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাঁরাও যে শেয়ার বাজার থেকে নিজেদের পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেন, তার সুলুকসন্ধানের ব্যবস্থা ছিল মেলায়। সর্বোপরি ছিল আত্মবিশ্বাসের অফুরান জোগান। আর একটা বেঙ্গল কেমিক্যাল কেন হবে না? কেন বাজার ধরবে না কোনও মার্গো সাবান? কে সি দাসের রসোগোল্লা যদি বিশ্বের দরবারে অস্তিত্ব জাহির করতে পারে, নয়া প্রজন্ম কেন নতুন আবিষ্কার নিয়ে আসর মাত করবে না? আশা জাগিয়েছে এই উদ্যোগ। আবার। বাঙালির নবজাগরণের।