সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
চুঁচুড়ার ৬ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। জল ঢুকেছে শ্রীরামপুরের ২ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে। কোন্নগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তি এলাকা ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছে। সেখানে বাগখাল দিয়ে গঙ্গার জল ঢুকেছে। চাতরা লাগোয়া বৈদ্যবাটি পুরসভার একাংশও প্লাবিত হয়েছে। চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, গঙ্গায় জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ও চাঁদনি ঘাটের বাঁধে ফাটল ধরায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা প্রায় ৩০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়েছি। প্রশাসনকে বাঁধ নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, দু’টি ওয়ার্ডে সমস্যা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
গঙ্গা এখন টইটম্বুর। বুধবার রাতে ছিল ষাঁড়াষাঁড়ির বান। বৃহস্পতিবারও তার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। আবার অনেক জায়গায় পুরসভার নিকাশি নালা দিয়েও গঙ্গার জল ঢুকে এসেছে। সব মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয়দের মতে, বলাগড়ের পরিস্থিতি সবেচেয়ে উদ্বেগজনক। সেখানকার চর খয়রামারি, গুপ্তিপাড়া শ্মশান লাগোয়া এলাকায় হু হু করে জল ঢুকেছে। প্লাবিত হয়েছে বেহুলা নদী লাগোয়া এলাকা।
গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, গঙ্গায় জলস্তর বৃদ্ধির কারণে গুপ্তিপাড়ার একাংশ, চর খয়রামারি জলমগ্ন হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করে গুপ্তিপাড়া ঘাট দিয়ে এদিন ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবারও তা বন্ধ থাকবে। প্রশাসন ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকেই কোথাও কোথাও জল ঢুকতে শুরু করেছিল। কোথাও আবার বৃহস্পতিবার সকালে জল ঢুকেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডেনিস খাল, বাগখালের মতো খালগুলি সংস্কারে ত্রুটির কারণেই সার্বিকভাবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়েছে। নিজস্ব চিত্র