সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
কল্যাণী শহর মণ্ডলের সভাপতি শুকদেব মাইতি ও কল্যাণীর বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শম্পা বৈরাগীর উপস্থিতিতে এদিন রাতের দিকে ফের নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাঁরা বিধায়কের কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভের মধ্যে বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বিধায়ক অনুগামীরা। তার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাত পর্যন্ত উত্তেজনা ছিল।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে সাংগঠনিক আলোচনা করতে বিধায়কের অফিসে যান কয়েকজন নেতা। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে আসেন তাঁরা। এর কিছু সময় বাদে বিধায়ক শহরের সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় থাকা দলীয় কার্যালয়ে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে অশান্তি সৃষ্টি করেন। বিজেপির এক যুব নেতাকে মারধরের অভিযোগে ওঠে। পরে আক্রান্ত যুব নেতাকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে দলীয় কার্যালয়ে বিধায়ক অম্বিকা রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান দলেরই কর্মী সমর্থক ও নেতারা। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। এর দিন কয়েক আগেও কল্যাণী এইমস হাসপাতালের গেটের বাইরে বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে বিধায়কের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় কর্মী সমর্থকদের। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বিজেপি নেত্রী শম্পা বলেন, আমরা সাংগঠনিক আলোচনা করতে বিধায়কের কার্যালয়ে যাই। সেই সময় উনি ছিলেন না। কেন আমরা তাঁর কার্যালয়ে গিয়েছি, সেই প্রশ্ন তুলে পরে দলের কার্যালয় মদ্যপ কয়েকজনকে নিয়ে এসে মারধর করা হয়। এমন বিধায়ক যেন রাজ্যের কোথাও টিকিট না পান। অম্বিকা রায় হটাও পশ্চিমবাংলা বাঁচাও।
যদিও সমস্ত অভিযোগ বিধায়ক অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকেই পার্টি অফিসে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই এমএলএ অফিসে কয়েকজন গিয়ে দুর্ব্যবহার করে আসেন। সেটা জানতে চাইলেই কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে বাজে আচরণ করেন। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপি নেতৃত্ব কল্যাণী থানায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে।