সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
অথচ অচলাবস্থা কাটানোর জন্য রাজ্যের তরফ থেকে চেষ্টার কসুর রাখা হয়নি। সব মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের অন্তত ৩৫টি করে রেস্টরুম সহ সিসি ক্যামেরা, প্যানিক বাটন, ডিসপ্লে, ‘রাত্তিরের সাথী’ অ্যাপ, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। এমনকী, জানানো হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটি রেস্টরুমই হবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। এক-একটির জন্য খরচ ৫-১০ লক্ষ টাকা।
গত ৯ আগস্টের ঘটনার পরই হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা খাতে বিপুল বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছিল নবান্ন। শুধু তা-ই নয়, সেই সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ শেষের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথাও জানানো হয়। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে হাসপাতালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি তুলে ধরেছিল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবারও তাঁদের তরফে ১৫ দফা দাবিপত্র নবান্নে পাঠানো হয়। তাঁদের সেই সব দাবি মেনেই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রাথমিকভাবে ব্যয়বরাদ্দ প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনেই এক-একটি মেডিক্যাল কলেজে অন্তত ৩৫টি এসি রেস্টরুম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে যে রেস্টরুমগুলি রয়েছে, সেগুলির আমূল সংস্কার করা হবে। একেবারে ঝাঁ চকচকে করে তোলা হবে প্রতিটি রেস্টরুম। বর্তমানে কিছু রেস্টরুম রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এবার সর্বত্র বসবে এসি মেশিন।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে বেশ কিছু খালি জায়গা চিহ্নিত করে নতুন রেস্টরুমগুলি গড়ে তোলা হবে। এক্ষেত্রে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এই ‘এসওপি’ অনুযায়ী প্রত্যেকটি রেস্টরুম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে পূর্তদপ্তর। সূত্রের খবর, সাধারণ প্রক্রিয়ায় দরপত্র ডাকার পর আবেদনের জন্য ১৫দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে অর্থদপ্তরের অনুমতি নিয়ে তা তিন দিনে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। বেশ কিছু প্রকল্পের দরপত্র সংক্রান্ত কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ব্যয়বরাদ্দের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকার কাজ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তা অবশ্য এখন ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকায় এসে ঠেকেছে।