সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি জানান, কেন্দ্র ডিসেম্বর পর্যন্ত টাকা না দিলে, রাজ্যের কোষাগার থেকেই এই টাকা দেওয়া হবে। একথা মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। তবে গরিব মানুষের এই ন্যায্য প্রাপ্য কেন্দ্র দু’বছর যাবৎ আটকে না রাখলে অন্তত দেওয়াল চাপা পড়ে আজ এতগুলি মানুষকে মরতে হতো না।
টানা অতিবৃষ্টির জেরে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। ডিভিসি জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরসহ কয়েকটি জেলায়। সেখানে দুর্গত মানুষজনকে উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে এসডিআরএফ বাহিনী। নবান্নের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় সোমবার এবং মঙ্গলবার দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ধরলে রাজ্যের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে সাপের কামড়ে, জলে ডুবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে অনেক ব্যক্তির। এঁদের মধ্যে বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দেওয়ালে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ছ’জন।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-১ ব্লকের হরিপুর খেজুরডিহিতে দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছে আট বছরের একটি ছেলে। তার নাম আসিব আলি মল্লিক। তাদের পাকা দেওয়ালের বাড়ি থাকলে এই মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যেত। মনে করেন গ্রামবাসীরাও। ওই জেলায় একই কারণে মৃত্যু হয়েছে, আউশগ্রাম-২ ব্লকে রামচন্দ্রপুর গ্রামের জেনু রুইদাসের। তবে শুধু পূর্ব বর্ধমানের এই দু’জনেরই নয়, একই পরিণতি হয়েছে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের রবিবালা সিং, হরিয়ালগড়ার বাসিন্দা জ্যোৎস্না বাগদি, বীরভূমের ইলামবাজারের মালত মাল এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের রথীপুরের যমুনা হ্যান্ডেলের। দেখা যাচ্ছে, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব মহিলা।
রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, শিশু ছাড়াও মৃতদের মধ্যে অনেকেই বৃদ্ধ কিংবা অসুস্থ ব্যক্তি। ফলে কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও শেষ মুহূর্তেও তাঁরা বেরতে পারেনি। তাঁদের পাকাবাড়ি থাকলে মানুষগুলির জীবনে এই দুর্ভাগ্য নেমে আসত না।