সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, বারাকপুর: সভ্যতার নাম করে মানুষ প্রকৃতির উপর যত আঘাত হানবে, প্রকৃতি ততটাই সুদে আসলে ফিরিয়ে দেবে। সুনামি থেকে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ে প্রকৃতির সেই ভয়াল রুদ্ররোষই দেখা গিয়েছে। তাই দশভুজার আহ্বানে প্রকৃতিরক্ষার সচেতনতা প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বারাকপুরের সুকান্ত সরণি ও পূর্ব তালবাগানের অধিবাসীবৃন্দ। তাঁদের মণ্ডপে শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দারের বার্তা, অক্সিজেন না থাকলে কেউ বাঁচবে না। আর এটা মনে রাখতে হবে, কৃত্রিম গাছ কখনও অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে না। তাই নিজেদের স্বার্থেই সবুজ রক্ষা করতে হবে, আরও গাছ বসাতে হবে মানুষকে। প্রকৃতি নিজের নিয়মে গড়ে তোলে নিজেকে। আর তার উপর আঘাত ঘানলেই হয় কোভিড, সুনামি বা ঘূর্ণিঝড়। এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় প্রকৃতিকে রক্ষা করা, আরও গাছ বসানো। ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার তাঁর মণ্ডপে এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বাঁশ, প্লাই-ফাইবার, লোহা দিয়ে তৈরি হচ্ছে সেই মণ্ডপ। প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার ওই মণ্ডপে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম গাছ। লোহা, ফাইবার, প্লাই দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম গাছ শোভা পাবে এই মণ্ডপে। কিন্তু কোনও গাছই অক্সিজেন তৈরি করতে পারবে না। তাই গাছ কেটে নয়, পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে আরও গাছ বসানো দরকার। না হলে প্রকৃতি বাঁচবে না, বাঁচবে না মানুষও। পরিবেশবান্ধব প্রতিমাও তৈরি হয়েছে মন্ডপের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। মণ্ডপে শিল্পীরা কাজ করছেন গত কয়েক মাস ধরে। পূজোর অন্যতম সংগঠক জয়দীপ দাস বলেন, প্রকৃতিকে বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়েই এই মণ্ডপ তৈরির ভাবনা। আশা করি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। থিমের নাম স্পন্দন।