গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
দক্ষিণ হাবড়ার করবাগান লেন এলাকায় মহিলাদের একটি পুনর্বাসন ও মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালান তৃণমূল নেত্রী মালা বসু কর ও তাঁর স্বামী পিনাকি কর। নেশায় আসক্ত মহিলারা এখানে ভর্তি হন সুস্থতার জন্য। ওই সেন্টারে ভর্তি করানো হয় নিউটাউনের এক মহিলাকে। গত ২৫ এপ্রিল রাতে পরিবারের লোকজন ওই মহিলাকে এখানে ভর্তি করেন। তিনি এই সেন্টারে ১২ থেকে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেন্টারের মালিক তথা তৃণমূল নেত্রীর স্বামী চিকিৎসাধীন মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় যে, তা শ্লীলতাহানির পর্যায়েই পড়ে। এই ঘটনার বিবরণ জানিয়ে সম্প্রতি তিনি বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার স্বাস্থ্যদপ্তর ও পুলিস ওই রিহ্যাবে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
নিউটাউনের ওই বাসিন্দার দাবি, চিকিৎসাধীন মহিলারা কিছু ভুল করলে তাঁদের অমানবিকভাবে মারধর করা হয়। গালিগালাজ করেন তৃণমূল নেত্রীর স্বামী। সেন্টারের মালকিন মালা বসু কর শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের নাম করে ভয় দেখান। মহিলার আরও অভিযোগ, একপ্রকার বিবস্ত্র হয়েই পিনাকি নাকি আচমকা ঢুকে পড়তেন তাঁদের ঘরে। অশ্লীলভাবে স্পর্শ করতেন মহিলাদের শরীর। আমি নিজে এমন অত্যাচারের শিকার। তাই সুবিচার ও তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়ে পুলিস সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পাশাপাশি ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর দপ্তরেও অভিযোগ জমা দিয়েছি।
এদিকে, তৃণমূল নেত্রী মালা বসু কর বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নেশাগ্রস্ত মহিলাদের চিকিৎসার জন্য আমি হাবড়ায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালাই। ওই নেশাগ্রস্ত মহিলা এখানে কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা না করেই চলে গিয়েছিলেন। ওই মহিলাই নিজে ‘সেক্স র্যাকেট’ চালান। তাঁর নামে গাইঘাটা থানায় এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমরাই তাঁকে আসতে নিষেধ করি। কিন্তু এতদিন পর কেন এই ধরনের অভিযোগ তুললেন বুঝলাম
না। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল নেত্রীর স্বামী পিনাকি কর।