গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
হালতুর বাসিন্দা মহম্মদ রফি তিলজলা রোডে একটি ট্রেডিং সংস্থা চালান। তিনি পেশায় শিক্ষকও। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ব্যবসায়িক কাজে বসিরহাটে যেতে হবে। রফি তাঁর এক কর্মচারী সাজিদকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। অভিযোগ, বসিরহাটের ওই ঠিকানায় পৌঁছনোর পর তাঁদের আটকে রাখে অভিযুক্তরা। এরপর রফির স্ত্রী তবসুমকে ফোন করে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বলা হয়, টাকা না দিলে অপহৃতদের ছাড়া হবে না। প্রথমে ভয় পেয়ে তাঁদের ৮০ হাজার টাকা দেন রফির স্ত্রী। পরবর্তী সময়ে আরও তিন লক্ষ টাকা দেয় রফির পরিবার। এরপর টাকার দাবি আরও বাড়তে থাকায় কড়েয়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তবসুম।
কড়েয়া থানার পুলিস ও লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররা যৌথভাবে তদন্তে নামেন। অপহৃতের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এদিন বসিরহাটের ওই বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারীদের একটি দল। সেখান থেকেই রফি ও সাজিদকে উদ্ধার করে পুলিস। গ্রেপ্তার হয় দুই অপহরণকারী। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রফি যে ট্রেডিং সংস্থা চালান, ধৃতরা সেখানকারই এজেন্ট। তারা যে টাকা লগ্নি করেছিল, সেই টাকা রফি প্রতিশ্রুতি মতো সুদ সমেত ফেরত দিতে পারেননি। তাই তাঁকে আটকে রেখে লগ্নির টাকা উদ্ধারের ফন্দি ছিল তাদের। তাদের বয়ান খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।