গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
গোপালনগর বৈরামপুরের রায়বাড়ির দুর্গাপুজো ৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো। সে বাড়িতে এখনও সেই প্রাচীন দুর্গাদালান, জোড়া শিবমন্দির, রাধাকৃষ্ণ মন্দির রয়েছে। তবে প্রাচীন ভাস্কর্য উধাও। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী দেখা যায়। পুজো অবশ্য হয় প্রাচীন রীতি মেনেই। ঠাকুরের বোধন বেলতলায়। বিসর্জন একই নিয়মে হয়। অতীতে দশমীর দিন আকাশে সন্ধ্যাতারা দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পুকুরে বিসর্জন হতো। এখন রীতি মেনে সন্ধ্যাতারা দেখার পরই বিসর্জনের ক্ষণ ঠিক হয় বটে তবে রাত একটু গড়ালে দেওয়া হয় নিরঞ্জন। এই দুর্গা ‘বুড়িমা’ নামে পরিচিত। অষ্টমীতে তিনি ফুলকপি ভাজা, আলু ভাজা, সুজির ভোগ পান। ঢাক, ঢোল ও কাঁসর বাজিয়ে পুজো সাঙ্গ হয়। সন্তোষপুরের এক ঢাকি পরিবার বংশ পরম্পরায় ঢাক বাজিয়ে আসছেন এখনও।
রায় পরিবারের অনেকেই এখন বাইরে থাকেন। পুজোর সময় আসেন গ্রামের বাড়িতে। বর্তমান প্রজন্মের সদস্য সন্তু রায় বলেন, ‘প্রাচীন রীতি মেনে আজও পুজো হয়। তবে অতীতের কোনো নিদর্শন এখন নেই বললেই চলে। মন্দিরগুলিতেও এসেছে আধুনিকতা। সেগুলি বাঁচিয়ে রাখতেই সংস্কার করতে হয়েছে। তবে নিষ্ঠার সঙ্গেই পুজো হয় বুড়িমার।’