সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসত হাসপাতালে প্রতিদিন বহু সংখ্যক রোগী আসেন। এটি মেডিকেল কলেজ হওয়ার সুবাদে এই মহকুমা তো বটেই পার্শ্ববর্তী মহকুমা থেকেও অনেকে আসেন চিকিৎসার জন্য। আবার বহু সঙ্কটজনক রোগীকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় এই হাসপাতাল থেকে। ফলে সর্বদা অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করে। এমনিতেই বারাসত শহরে টোটোর প্রবল চাপ। ফলে কোনওসময়ই যানজট কমে না। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে টোটোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে মানুষ অভিযোগ তোলে। এই পরিস্থিতিতে বারাসত হাসপাতালে আসতে গিয়ে অধিকাংশ অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে পড়তে হয়। সমস্যা দেখা দেয়। চাঁপাডালি থেকে হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তায় যানজটে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অ্যাম্বুলেন্সকে। ফলে নিয়মিত প্রশ্নের মুখে পড়ে নাগরিক পরিষেবা। এবার দীর্ঘদিনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগ নিল বারাসত পুলিস জেলার ট্রাফিক বিভাগ।
জানা গিয়েছে, বারাসত মেডিকেল কলেজ থেকে যশোর রোড ধরে মধ্যমগ্রামের একেবারে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত তৈরি করা হবে অ্যাম্বুলেন্স করিডর। যশোর রোডের একধারে ছ’ফুট চওড়া রাস্তা করার পরিকল্পনা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, যশোর রোডের একপাশে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। কোথাও কোথাও রাস্তার উপর দোকান বসে। ফলে অ্যাম্বুলেন্স করিডর করতে গেলে উচ্ছেদ করতে হবেই। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সবার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে এ সংক্রান্ত কথাও হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে যানজট বাধা হয়ে দাঁড়াবে না অ্যাম্বুলেন্সের সামনে। এই করিডর তৈরিতে বাধা দিলে প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে। বারাসত ট্রাফিক পুলিসের ডিএসপি অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, ‘মানুষের কথা ভেবেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। যেহেতু বারাসত মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন বহু অ্যাম্বুলেন্স আসা যাওয়া করে। তাই রোগীদের স্বার্থে এই ভাবনা। যানজটের ফলে অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ে। তা থেকে মুক্তি দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’