পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
রবিবার সকালে গড়িয়ার বাসিন্দা কৌশিক গুপ্তা পরিবার নিয়ে দমদম যাওয়ার জন্য কবি নজরুল স্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বেজায় সমস্যায় পড়েন। ছাউনির ফুটো থেকে জল পড়ে। তাঁর স্ত্রী ও কোলে থাকা একরত্তি পুত্রসন্তান পুরো ভিজে যায়। তিনি এবং মেয়ে কোনওরকমে মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে গিয়ে জমা জলে এদিন পড়ে যান সোনারপুরের বাসিন্দা তৃপ্তি দাস। শাড়ি ভিজে যাওয়ায় মধ্যবয়স্ক ওই মহিলা চরম অস্বস্তিতে পড়েন। কিন্তু মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। কলকাতা মেট্রোর অপারেশন বিভাগের এক অফিসার বলেন, টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ মাটির উপরের একাধিক স্টেশনের ছাউনি দীর্ঘদিন সংস্কার হয় না। দিল্লি থেকে এই খাতে কোটি কোটি টাকা আসে। তবে তা জনতার কাজে লাগে না। মেট্রোর যে কোনও কাজে বরাত পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্প্রতি নানা অসঙ্গতির খবর শোনা যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ কলকাতা মেট্রোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার মান ক্রমেই নামছে। উদাহরণ দিয়ে ওই অফিসার আরও বলেন, অপদার্থ কিছু আধিকারিকের জন্য তিলোত্তমার এই গর্বের পরিবহণের গায়ে কালি লাগছে। তার সূত্রে ধরেই গতমাসের শেষ সপ্তাহে পার্ক স্ট্রিট-এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন ও ট্র্যাক জলে ভরে গিয়েছিল। পাঁচ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ রেখে দেওয়া হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। ওই দিন নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতায় ছিলেন। পার্টি ও নিজস্ব মাধ্যমে মেট্রোর গাফিলতির কাহিনি তাঁর কাছেও পৌঁছয়। কিন্তু তারপরও কর্তাদের হুঁশ ফেরেনি বলে দাবি ওই সংস্থার অফিসারদের একাংশের।