পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
বাম আমলে হাতিবাগানের রূপবাণী থেকে দর্পণা সিনেমা হল পর্যন্ত রাস্তা, ফুটপাত দখল করে চলা বাজার উচ্ছেদ হয়েছিল। তখন গ্যালিফ স্ট্রিটে খালধার বরাবর হকারদের জন্য পাঁচটি ব্লকের বাজার কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। সেখানে প্রায় ২৫০টি দোকানঘর ছিল। কিন্তু বিক্রেতারা সেখানে যাননি। কৌশিক লোহার নামে এক কুকুর বিক্রেতা বলেন, ‘তখন ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাতে ব্যবসা হতো না। ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই সমস্যা হতো। সরকার তখন কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই গায়ের জোরে হাতিবাগান থেকে উচ্ছেদ করেছিল। কিন্তু আন্দোলনের ফলে তা করতে পারেনি। তারপর শনিবার রাত এবং রবিবার ভোর থেকে প্রতি সপ্তাহে রাস্তার উপরেই বাজার চলছে।’ গ্যালিফ স্ট্রিটে পাখি, গাছ, মাছ, মাছের খাবার, কুকুর, ফুল ইত্যাদির বাজার বসে। এর ফলে কার্যত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অসন্তোষ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গোকুলচন্দ্র ঘোষ নামে এক বসবাসকারী বলেন, ‘সপ্তাহে দু’দিন বাজার হলেও ওই সময়টা একটাও গাড়ি ঢুকতে পারে না। এই অঞ্চলে কারও বাড়িতে আগুন লাগলে দমকলের গাড়িও আটকে যাবে। এখন হকার নিয়ন্ত্রণে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। গ্যালিফ স্ট্রিট নিয়েও ভাবা হোক বলে আমাদের দাবি।’ সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা সখেরহাটের সভাপতি বাপি ঘোষ বলেন, ‘তৎকালীন সরকার গায়ের জোরে কাজ করেছিল। কিন্তু এখন যদি এই কমপ্লেক্স থেকে শ্রমিকদের সরানো হয়, তাহলে গ্যালিফ স্ট্রিটের রাস্তা আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে খালি করব। এই বাজারেই সখেরহাটের ব্যবসায়ীদের বসানো হবে। তবে তার আগে বিল্ডিংটিতে কিছু বদল করতে হবে। ব্যবসা চালানোর উপযুক্ত করে তুলতে।