পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রেল। হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা ঘটনাস্থলে এসে বলেন, ‘রেলের চূড়ান্ত ব্যর্থতার কারণেই এই ঘটনা ঘটল।’ রাজেশ দাস নামে ট্রেনে থাকা এক যাত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটে। এখানেও তার থেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত।’ এরপর দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। বেশ কয়েকঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। বনগাঁ স্টেশনে যাত্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বন্ধন এক্সপ্রেসকেও।
এদিন বিকাল পাঁচটা নাগাদ বনগাঁ থেকে শিয়ালদহর দিকে যাচ্ছিল লোকালটি। তার আগে বিকেল চারটে ২০ মিনিট নাগাদ একটি লরি ধাক্কা মারে জয়গাছি রেলগেটে। সেটি মেরামতের কাজ চলছিল। হঠাৎ রেলগেটটি ভেঙে পড়ে ওভারহেড তারের উপর। লোকলটি তখন চলে আসে লাইনে। তারপর হাইটেনশন লাইন থেকে বিদ্যুতের ঝলকানি ও কামড়ায় আগুনের ফুলকি। বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল প্রতিদিনই থাকে যাত্রী ঠাসা। এদিনও ছিল। রেলের দায়িত্বহীনতার দিকে ইঙ্গিত করে যাত্রী শিউলি রানা বলেন, ‘লেডিস কম্পার্টমেন্টে ছিলাম। হাবড়া স্টেশনের আগে আগুনের ফুলকি কম্পার্টমেন্টে ঢুকতে শুরু করে। ট্রেনের গতি আচমকা কমে যায়। বিপদ হয়েছে বুঝতে পেরে ট্রেন থেকে কোনওক্রমে ঝাঁপ দি। ভয়ঙ্কর বিপদ হয়ে যেতে পারত।’ যাত্রী রাজেশ দাস বলেন, ‘রেলগেট ঝুলছিল শূন্যে। হঠাৎ ভেঙে পড়ল। আগে থেকে রেল উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে এমন ঘটনা ঘটত না।’
হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘রেলগেট গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে পড়ল, সেটি সঠিকভাবে সারাই না করেই ট্রেন চলাচল হল!’ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘লরির ধাক্কায় রেলগেট ভেঙে যায়। সেটি ওভারহেড তারের উপর পড়ে। তারপরই পাওয়ার ব্লক করে দেওয়া হয়। যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছিল সেটির বিরুদ্ধে পুলিসে এফআইআর করা হচ্ছে।’