আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর পরিদর্শকের অনুমতি নিয়ে হলের বাইরে যান প্রতীক। সেই সময় পকেটে ভরে নেন প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা হলের বাইরে যেখানে তাঁর ব্যাগ রাখা ছিল, সেখান থেকে মোবাইল ফোন বের করে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে উৎকর্ষকে পাঠিয়ে দেন তিনি। গোটা ঘটনাটি কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। কন্ট্রোল রুমে সেই ভিডিও দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিক্ষকরা। তারপর আর প্রতীককে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। কলেজের তরফে নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে প্রথমে প্রতীককে আটক করে। তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেটি পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, ওই প্রশ্নপত্রের ছবি উৎকর্ষকে পাঠানো হয়েছে। তখন দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’জনকেই পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কেন এই কাজ করলেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র? প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, গোটা বিষয়টির বন্দোবস্ত আগে থেকেই করা ছিল। উৎকর্ষকে এভাবে প্রশ্ন পাঠানোর পর তিনি উত্তরগুলি প্রতীককে জানিয়ে দেবেন বলে ঠিক ছিল। তার আগেই পরিকল্পনার পর্দাফাঁস হয়ে যায়। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রশ্ন বাইরে যায়নি। ওই ছাত্র অসাধু উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। বাকিটা পুলিস তদন্ত করে দেখছে।